এডুকেশন টাইমস
১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

সরকারি স্কুলে ভর্তিতে কোটার দৌরাত্ম, ‘হতাশায়’ অভিভাবকরা

এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: সরকারি স্কুলে ভর্তিতে এবারও শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে লটারির মাধ্যমে। লটারি প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তাপূর্ণ হওয়ায় ভালো স্কুল পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় থাকেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। লটারির মাধ্যমে ভর্তিকে ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ কমানোর মাধ্যম বলা হলেও রয়েছে কোটা পদ্ধতি। এ কোটা পদ্ধতি বহাল থাকায় অসহায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারও সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তিতে ৬৮ শতাংশ কোটা বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেক অভিভাবকের। বিশেষ করে যারা কর্মসূত্রে ঢাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তারা এ কোটা পদ্ধতি বাতিল চান।

তবে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি, বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি এড়াতে ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা রাখা হয়। এতে শিশুরা নিজের আশপাশের এলাকার বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। বাকি অন্য কোটা খুবই কম।

ভর্তি নীতিমালায় দেখা গেছে, মোট শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। অর্থাৎ, স্কুলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দা যারা, তাদের সন্তানদের জন্য এ কোটা রাখা হয়। এ কোটায় ভর্তির জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয় থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। অনেক সময় যারা ভাড়াটিয়া, তাদের এ প্রত্যয়নপত্র নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

রাজধানীর বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম গত বছর এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এ কোটার ক্ষেত্রে অনেকে অনলাইনে জালিয়াতি করেন। ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অনলাইন আবেদনের সময় ক্যাচমেন্ট এরিয়া সুবিধাজনক এলাকা দেন। সন্তান লটারিতে টিকে গেলে তখন মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নেন। এটা এক ধরনের জালিয়াতি।’

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী বাকি যে ২৮ শতাংশ কোটা রয়েছে তার মধ্যে বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ। এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এক শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।

তাছাড়া দূর থেকে বদলি হয়ে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ আসন কোটায় সংরক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি কোটা সুবিধা নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানরাও।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তারা এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যদিও আমি শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য যে কোটা রাখা হয়েছে, সেটার প্রয়োজন নেই। যদিও সেটা খুবই অল্প। আর ক্যাচমেন্ট এরিয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়ম কঠোরভাবে মানা হলে এ কোটায় তেমন ক্ষতি নেই।’

এসএস/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

বাকৃবির ফজলুল হক হলে তিন দিনের ফিস্টে উৎসবের আমেজ

জুরাইনে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ 

জানা গেলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচলের তারিখ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২৫০০০—৩০০০০ বেতনে চাকরি আরএফএল গ্রুপে, দেবে ভ্রমণ ভাতাসহ নানান সুবিধাও

নিয়োগ দিচ্ছে বিএসআরএম গ্রুপ

যে কারণে ভারতে করিমগঞ্জের নাম বদলে শ্রী-ভূমি রাখা হলো

র‍্যাগিং প্রতিরোধে বেরোবিতে অভিযোগ বক্স স্থাপন

নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে আবু সাঈদ ও মুগ্ধের আত্মত্যাগের গল্প

সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ

১০

আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল কেনিয়ার

১১

সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন শুরু

১২

১৪ বন্ধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে থাই নারীর মৃত্যুদণ্ড

১৩

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া, শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা: হাসনাত

১৪

সাত কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নিদের্শনা ঢাবির

১৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

১৬

শীতের শুরুতেই জাবিতে নৈশপ্রহরীদের শীতবস্ত্র উপহার দিলো ছাত্রশিবির

১৭

ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস

১৮

‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ’

১৯

জাবিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: দ্রুত বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল

২০