চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (স্যাড) কর্তৃক আয়োজিত ১৭টি সংগঠনের প্রতিনিধি নিয়ে ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধি আজাদ হোসেন বলেন, ছাত্ররাজনীতি ও সন্ত্রাসী দুইটা ভিন্ন বিষয় । ছাত্র রাজনীতি মানে সন্ত্রাসী, গুণ্ডামি, মাস্তানি, হল দখলদারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি না। আমরা এতদিন রাজনীতির নামে এসব দেখে এসেছি। তাই ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠবে ছাত্র রাজনীতি তাহলে কি? আমার মতে সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান যে সংকট তা সংশোধনের জন্য লড়াই করাই ছাত্র রাজনীতি।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধি রোনাল চাকমা বলেন, ‘ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বহুজাতি এবং বহুসংস্কৃতির মিলনকেন্দ্র। এখানে বহুসংখ্যক পাহাড়ি ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে। ২৪ এর গণ অভ্যত্থান সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ছাত্রদের দাবি দাওয়াসহ সকল আন্দোলনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্যরা একযোগে কাজ করেছে। ক্যাম্পাসে ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতির পক্ষে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সবসময়ই থাকবে। ‘
ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি সাইদ বিন হাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির অন্যতম বড় সংকট ভিন্ন দল ও মতকে সহ্য করতে না পারা। আমরা ইতিপূর্বে দেখতাম একক আধিপত্য বজায় রাখতে অনুগত দলদাস তৈরি করা হতো। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির মনে করে রাজনৈতিক আদর্শ কখনো চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আদর্শের ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তি করা যাবে না। প্রত্যেক দল ও মত তার আদর্শ প্রচার করবে, শিক্ষার্থীরা যে আদর্শ পছন্দ করবে তা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেও সহিষ্ণুতা থাকবে যেন অন্য মতকে সুযোগ করে দিতে পারে।
ছাত্রদলের প্রতিনিধি শাহরিয়ার ফারুক ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রদল গতানুগতিক কোন রাজনীতি করতে চায় না। আমরা চাই সুস্থ রাজনীতি, মেধা বিকাশের রাজনীতি। আগের রাজনীতি ছিল কে কার থেকে বড় মুজিববাদী তা প্রমাণের রাজনীতি। এসব জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার রাজনীতি করবে ছাত্রদল। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্যাম্পাসে শোডাউন ও দখলদারিত্বের রাজনীতি ছাত্রদল করবে না। ‘
এসময় ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ঈশা দে, স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির আবির বিন জাবেদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মোনাল চাকমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রিজাউর রহমান, নারী অঙ্গনের সুমাইয়া শিকদার, রাষ্ট্রচিন্তার আল মাসনূন, গাউসিয়া কমিটির মুনতাসীর মাহমুদ, ক্লাব অ্যালায়েন্স অফ সিইউ এর সাজ্জাদ হোসেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ধ্রুব বড়ুয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের তামজিদ উদ্দীন, ইসলামী ছাত্র মজলিশের সাকিব মাহমুদ রুমী, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের তারেক মনোয়ার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের আমিনুল ইসলাম রাকিব।
এএকে/
মন্তব্য করুন