আনিসুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২২ নভেম্বর পালিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এই দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাসে আলপনার বর্ণিল রঙ যেন এই আনন্দকে আরও গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আর এই উৎসবের রঙে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প সংশ্লিষ্ট সৃজনশীল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বুনন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে আঁকা হচ্ছে বর্ণিল আলপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন, ডায়না চত্বর ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সামনে ও পিছনের সড়কে এই আলপনার নকশায় সজ্জিত করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা আলপনার কাজ দেখে মুগ্ধ। অনেকেই জানিয়েছেন, এ ধরনের উদ্যোগ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে।
বুননের সভাপতি নাহিদুর রহমান জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের জন্য ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে আমরা ক্যাম্পাসকে আলপনার মাধ্যমে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের আলপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং দেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।বুননের এই আয়োজন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।’
এই আয়োজন শুধু ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়ায়নি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উৎসবের আবহও তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আলপনা আঁকার কাজে অংশ নিয়েছেন। কেউ রং তুলির স্পর্শে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রামীণ জীবন, কেউবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো বা নকশা তুলে ধরছেন
বুননের সদস্য শান্ত শিশির বলেন, “এই আয়োজন আমাদের সবার জন্য অনেক আনন্দের। আলপনা আঁকা শুধু কাজ নয়, এটি আমাদের বন্ধুত্ব আর সৃজনশীলতাকে একসঙ্গে প্রকাশ করার মাধ্যম।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এই উদ্যোগকে প্রশংসা করে বলেন, “বুননের এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐক্য এবং সৃজনশীলতার চর্চাকে উৎসাহিত করবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.আলীনূর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে ধারণ করে পালিত হবে। আলপনার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানকে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগটি একটি চমৎকার ও সৃজনশীল ধারণা। আলপনা, আমাদের ঐতিহ্যের একটি বিশিষ্ট শিল্পরূপ, এর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনার চিত্রায়ণ শিক্ষার্থীদের এবং দর্শকদের মাঝে বিষয়টি আরো প্রাণবন্ত করে তুলবে।
প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনী, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ থাকবে নানা আয়োজন। দিবসটি উপলক্ষে ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম‘আ প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছুটির দিন হওয়ায় ও উপাচার্য না থাকায় দিবসটি পিছিয়ে মূল কর্মসূচি ২৫ নভেম্বর (সোমবার) পালন করা হবে।
আরএন/
মন্তব্য করুন