সাগর আহমেদ: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে চাল, ডাল, চিনি, আটা ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। থেমে নেই কাঁচাবাজারে সবজির দামও। চড়া দামে ক্রয় করতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব দ্রব্যসামগ্রী। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ এবং মেস-হোস্টেল ও আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীরা বেশ বিপাকেই পড়েছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রমজান মাস চলা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অস্বাভাবিক ও আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে সমাজে নেমে এসেছে অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে এ আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ একাধিক। প্রথমত, মুনাফালোভী মজুদদার, দ্বিতীয়ত, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা। সরকার কর্তৃক মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণার পরক্ষণেই অজ্ঞাত কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও সচেতন শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রতিনিয়ত নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেসার আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় প্রতিদিনের খরচে ৩০-৪০ টাকা বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। উক্ত সমস্যা নিরসনে বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও যেনো বিলাসিতা। পরিবারের সঙ্গে ইদ পালন করলেও যেনো আমেজে কোথাও একটা মলিন ভাব লক্ষণীয়। কারণ একটাই ‘ক্রমশ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগামিতা।’
এসআই/
মন্তব্য করুন