ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পানির ট্যাপ চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসাররা। পরে ওই চোরকে সাথে নিয়ে তার দেয়া তথ্য মতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার থেকে আরও একজন চোরকে আটক করেন তারা। পরে তাদেরকে ইবি থানায় সোর্পদ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেম মিয়া বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়াশরুমের ট্যাপ চুরিরত অবস্থায় একজনকে হাতেনাতে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সিকিউরিটি অফিসাররা।
আটককৃতরা হলেন, কুষ্টিয়ার সদরের কমলারপুরের গিয়াস আলীর ছেলে হায়দার আলী (২৭)। অন্যজন হলেন কুষ্টিয়ায়ার চৌড়হাসের আব্দুল মোতালেবের ছেলে নাহিদ হাসান ধ্রুব (২৫)।
জানা যায়, সোমবার বেলা একটার দিকে চোর হায়দার আলী বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলার ওয়াশরুমের পানির ট্যাপ খুলছিল। সেসময় দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড তাকে দেখে হাতেনাতে ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। তার সাথে থাকা ব্যাগে একটি পানির ট্যাপ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় শেখপাড়া বাজারে অবস্থানরত চোরের সহকারীকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাদেরকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ফ্যাকাল্টি ভবন, রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবন, টিএসসিসির ট্যাপ ও ফিটিংস চুরির ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত চোর হায়দার আলী জিঙ্গাসাবাদে এর আগে চুরির ঘটনা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা মামলার বিষয়ে এখন অবধি কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা পরে থানায় গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সিকিউরিটি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বেলা ২ টার দিকে যেয়ে তাদেরকে হাতেনাতে ধরি। তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫/২০ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে প্রতিনিয়ত পানির ট্যাপসহ বিভিন্ন জিনিস চুরির ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। ফলে চুরি করা অবস্থায় চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
/ইএইচ
মন্তব্য করুন