এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ইসলাম ধর্মে বিভিন্ন ধর্মী উৎসবগুলো নির্ভর আরবি মাসের হিসেবে। আর আরবি মাসের দিন ও তারিখ নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে। তাই চাঁদ দেখা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি দূর ও সঠিক তথ্য জানাতে বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে চাঁদ দেখা কমিটি থাকে। বাংলাদেশেও মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে গঠন করা হয়েছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
এটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বিনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ। কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৭ জন। আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি মাসের ২৯ তারিখ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সব সদস্যের অংশ নেওয়ার নিয়ম।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিতে যারা থাকেন
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। অন্য সদস্যরা হলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্যসচিব, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক।
এছাড়া, চাঁদ দেখার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
কমিটির কাজ
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্মমন্ত্রী উপস্থিত থাকলে তিনিই কার্যক্রম শুরু করেন। তার অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব। তাদের একজন প্রথমে মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) প্রতিনিধির কাছে চাঁদের সম্ভাব্য বয়স সম্পর্কে জানতে চান। এরপর বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধির কাছ থেকে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি, কোথায় মেঘ আছে, কোথায় নেই, কোন জেলার আকাশ পরিষ্কার ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়। এরপর তারা বসে থাকেন জেলাগুলোর চাঁদ দেখা কমিটির ফোনের অপেক্ষায়। জেলা থেকে ফোন আসার আগ পর্যন্ত মূলত কোনো কাজ থাকে না এই কমিটির।
চাঁদ দেখা কমিটির সম্মানী
কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক সদস্য ২,০০০ টাকা করে ভাতা পান।
এসআই/
মন্তব্য করুন