এডুকেশন টাইমস
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২:২৯ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

যেভাবে লেখা হয় ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে’ গানটি

আরিফ রহমান: ‘আব্বাসউদ্দীনের চোখ পানিতে ছলছল করছে, নজরুলের এই একটা গানের জন্য কতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তো গ্রামোফোন কোম্পানি না, তাঁকে রিস্ক নিতে হয়েছে গোটা একটা কালচারাল ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে গিয়ে…!’

এক.

একদিন শ্যামা সঙ্গীতের রেকর্ডিং শেষে বাড়ি ফিরছেন নজরুল। পথে তাঁকে আগলে ধরেন সুর সম্রাট আব্বাসউদ্দীন। একটা আবদার নিয়ে এসেছেন তিনি। আবদারটি না শোনা পর্যন্ত নজরুলকে তিনি এগুতে দেবেন না।

আব্বাসউদ্দীন নজরুলকে সম্মান করেন, সমীহ করে চলেন। নজরুলকে তিনি ‘কাজীদা’ বলে ডাকেন। নজরুল বললেন, বলে ফেলো তোমার আবদার।

আব্বাসউদ্দীন সুযোগটা পেয়ে গেলেন। বললেন, ‘কাজীদা, একটা কথা তোমাকে বলবো বলবো ভাবছি। এই যে পেয়ারু কাওয়াল ঈদের সময় কত সুন্দর গান রচনা করে আর এইচএমভি থেকে যখন গ্রামোফোন বের হয়, হাজার হাজার কপি মুসলমানরা কিনে নেয়। তুমি এরকম একটা গান লেখো না? তুমি যদি কিছু ইসলামি গান লেখো, তাহলে ঘরে ঘরে তোমার গান পৌঁছে যাবে।’

বলে রাখা ভালো, আব্বাসউদ্দীন বয়সে নজরুলের একটু ছোট হলেও দুজনের সম্পর্ক বন্ধুর মতোই ছিল। নজরুলের সাথে আব্বাসউদ্দীনের সেইসব স্মৃতির কথা ‘দিনলিপি ও আমার শিল্পী জীবনের কথা’ গ্রন্থে যত্ন করে লিখেছেন আব্বাসউদ্দীন।

তিনি লিখছেন, বাজারে তখন শ্যামা সঙ্গীতের ট্রেন্ড। নজরুলের লেৎা শ্যামা সঙ্গীত গেয়ে সবাই রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। সেইসময়ে শ্যামা সঙ্গিতের এমন ডিম্যান্ড যে বহু মুসলিম শিল্পী হিন্দু নাম ধারণ করে শ্যামা সংগীত লেখা শুরু করেছেন। মুনশী মোহাম্মদ কাসেম হয়ে গেছেন ‘কে মল্লিক’, তালাত মাহমুদ হয়ে গেছেন ‘তপন কুমার’।

আর নজরুল নিজেও তো আছেনই। শ্যামা সঙ্গীত লিখেন, সুর দেন।

গানের বাজারের যখন এই অবস্থা তখন আব্বাস উদ্দীনের এমন আবদারের জবাবে নজরুল কী উত্তর দেবেন? একদিকে ‘ইসলাম’ শব্দটার সাথে তো নজরুলের কতো আবেগ মিশে আছে শৈশব থেকে। তাঁর কালজয়ী কতো কবিতা আছে ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে!

আবার চাইলেই এই মুহূর্তে এই প্রস্তাবে সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলা যাচ্ছে না। বহুকষ্টে একটা বাজার বসেছে। বাজারে স্রোতের বিপরীতে সুর মেলাতে চাইলেই হয় না। আবেগে গা ভাসালে চলবে না।

গান রেকর্ড করতে হলে তো বিনিয়োগ করতে হবে, সরঞ্জাম লাগবে। এগুলোর জন্য গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল ইনচার্জ ভগবতী ব্যানার্জির (বা ভট্টাচার্য) কাছে যেতে হবে। নজরুল আব্বাসকে বললেন, ‘যদি ভগবতী বাবুকে রাজী করাতে পারো তখন বিষয়টা ভেবে দেখা যাবে।’

আব্বাসউদ্দীন সেদিন একটা প্রাথমিক সম্মতি নিয়ে নজরুলকে ছাড়লেন।

দুই.

নাছোড় বান্দা তরুণ আব্বাস গ্রামোফোনের রিহার্সেল-ইন-চার্জ ভগবতী বাবুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করলেন একটা ইসলামিক গান রেকর্ড করতে।

কিন্তু ব্যবসায়ী ভগবতী বাবু কোনোক্রমেই ঝুঁকি নিতে রাজী হলেন না।

গ্রামোফোনে এখন তাদের জমজমাট ব্যবাসা। একবার মার্কেট ট্রেন্ডের বাইরে গেলে ছিটকে পড়তে পারেন মার্কেট থেকে। তিনি বললেন, ‘আব্বাস সাহেব মুসলমানদের পয়সা নেই। তারা রেকর্ড কিনতেও পারবে না। পূজোর সময় তাও কিছু গান বিক্রি হয়। ঈদের সময় কোনো গান বিক্রি হবে না।’

আব্বাসউদ্দীন যতোই তাকে অনুরোধ করেন, ততোই তিনি বেঁকে বসছেন।

এদিকে আব্বাসউদ্দীনও কম যান না, দীর্ঘ ছয়মাস তিনি লেগে থাকলেন ভগবতী বাবুর পেছনে। এদিকে রোজার ঈদ এসে যাচ্ছে।

১৯৩১ সালের এপ্রিলের একদিন ভগবতী বাবুকে ফুরফুরে মেজাজে দেখে আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘দাদা অন্তত একবার একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন-ই না। যদি বিক্রি না হয় তাহলে আর নেবেন না।’

ভগবতী বাবু আর কতো ‘না’ বলবেন?

এক পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘নাছোড়বান্দা আপনি জনাব। আচ্ছা যান, করা যাবে। গান নিয়ে আসুন।’

তবে শর্ত দিলেন নিজে শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন বিক্রিতে যাবেন কি-না।

শুনে আনন্দে আব্বাসউদ্দীনের চোখে জল এসে গেলো। ছয় মাসের শ্রম একটা দিশা পেলো যেনো। আর দেরি করা যাবে না। এবার একটা গান বাঁধতে হবে।

তিনি গেলেন ওস্তাদের ডেরায়, নজরুলের কাছে।

তিন.

নজরুলের ডেরায় এসে আব্বাস জানালেন ভগবতী বাবুর সম্মতির কথা। আর দেরি করার সুযোগ নেই, ভগবতী মহাশয় বেঁকে বসার আগেই একটা গান লেখা চাই।

নজরুল আব্বাসকে বললো, ‘যাও পান নিয়ে আসো, আর চা।’

আব্বাস উদ্দীন অনেকগুলো পান নিয়ে এলেন। আর বললো চা আসছে।

নজরুল একটা কাগজ নিয়ে রিডিং রুমে ঢুকলেন। আধা ঘন্টা সময় নিয়ে এরপর বেরিয়ে এলেন। হাতে কাগজ।

তারপর বললেন, ‘সুরটা এখনই করি… না পরে করবো?’

আব্বাসউদ্দীন বললেন, ‘কাজীদা আপনার মনের যে অনুভূতিটা, যেটা গানের মধ্যে প্রকাশ করেছেন এখন না করলে সেই মজাটা হবে না।’

পানের পিক ফেলে আব্বাস উদ্দীনের দিকে ‘দেখোতো লিরিকটা’, বলে কাগজটা বাড়িয়ে দিলেন নজরুল।

আব্বাস উদ্দীন কাগজটি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন:

“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।”

আব্বাসউদ্দীনের চোখ পানিতে ছলছল করছে, নজরুলের এই একটা গানের জন্য কতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তো গ্রামোফোন কোম্পানি না, তাঁকে রিস্ক নিতে হয়েছে গোটা একটা কালচারাল ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে গিয়ে।

আব্বাসউদ্দীন কি তখন কল্পনাও করতে পেরেছিলেন- তাঁর হাতের গানটি একদিন বাঙালী মুসলমানের হৃদয়ের ডাক হবে?

চার.

দুই মাস পর রোজার ঈদ। গান লেখার চারদিনের মধ্যে গানের রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেলো। ১৯৩১ সালের মে মাসের শুরুর সাপ্তাহের একটা দিনে।

রেকর্ড শেষে ঈদের ছুটিতে কলকাতা থেকে বাড়ি গেলেন আব্বাসউদ্দীন। ঈদের বন্ধের সঙ্গে আরও বিশ-পঁচিশ দিন বাড়তি ছুটি নিয়েছিলেন। ফলে ঈদে বাজারে আসা তাঁর নতুন ইসলামিটা গান কেমন চলল, তা জানার সুযোগ পাননি।

ঈদের ছুটি শেষে কলকাতা ফিরে এসে ট্রামে চড়ে অফিসে যাচ্ছেন আব্বাসউদ্দীন। হঠাৎ শুনলেন ট্রামে তার পাশে বসা এক যুবক গুনগুন করে গাইছে, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে।’

শুনে একটু অবাকই হলেন আব্বাস। এই যুবক এ গান শুনল কীভাবে?

অফিস ছুটির পর গড়ের মাঠে দিয়ে বাড়ি ফিরছেন, শোনেন মাঠে বসে একদল ছেলের মাঝে একটি ছেলে গেয়ে উঠলো— ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে।’

তখন আব্বাসউদ্দীনের মনে পড়ল এ গান তো ঈদের সময় বাজারে বের হবার কথা। সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলেন সেনোলা রেকর্ড কোম্পানীর বিভূতিদার দোকানে গেলাম।

আব্বাসউদ্দীনকে দেখেই তাকে জড়িয়ে ধরলেন বিভূতিবাবু। সন্দেশ, রসগোল্লা, চা আনিয়ে খেতে দিলেন।

আব্বাসউদ্দীনের গান দুটো আর আর্ট পেপারে ছাপানো তার বিরাট ছবির একটা বান্ডিল সামনে রেখে বললেন, ‘বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বিলি করে দিও। আমি প্রায় সত্তর আশী হাজার ছাপিয়েছি, ঈদের দিন এসব বিতরণ করেছি। আর এই দেখ দু’হাজার রেকর্ড এনেছি তোমার।’

পাঁচ.

এ কথা শুনে আব্বাসউদ্দীন সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন কাজীর বাড়িতে।

সেখানে গিয়ে শুনলেন নজরুল রিহার্সেল রুমে গেছেন। সটান সেখানে গিয়ে হাজির হলেন আব্বাসউদ্দীন।

নজরুল তখন দাবা খেলায় মগ্ন। তিনি দাবা খেলা শুরু করলে দুনিয়া ভুলে যান। আশেপাশে কী হচ্ছে তার কোনো খেয়াল থাকে না। অথচ আজ আব্বাসউদ্দীনের গলার স্বর শুনার সাথে সাথে নজরুল দাবা খেলা ছেড়ে লাফিয়ে উঠে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন।নজরুল বললেন, ‘আব্বাস, তোমার গান কী যে হিট হয়েছে!’

আনন্দে চট করে নজরুলকে কদমবুসি করে ফেললেন আব্বাসউদ্দীন।

ওদিকে গানের সাফল্যে মহাখুশি হলেন ভগবতীবাবুও। এরপর একের পর এক ইসলামি ধারার গান লিখলেন নজরুল, গাইলেন আব্বাসউদ্দীন। নতুন জোয়ার এল বাংলা গানের ধারায়।

বাজারে এবার নতুন ট্রেন্ড শুরু হলো ইসলামি সঙ্গীতের। এই ট্রেন্ড শুধু মুসলমানকেই স্পর্শ করেনি, স্পর্শ করেছে হিন্দু শিল্পীদেরও।

এক সময় মুসলিম শিল্পীরা শ্যামা সঙ্গীত গাইবার জন্য নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম রাখতেন। এবার হিন্দু শিল্পীরা ইসলামি সঙ্গীত গাবার জন্য মুসলিম নাম রাখা শুরু করলেন।

ধীরেন দাস হয়ে যান গণি মিয়া, চিত্ত রায় হয়ে যান দেলোয়ার হোসেন, গিরিন চক্রবর্তী হয়ে যান সোনা মিয়া, হরিমতি হয়ে যান সাকিনা বেগম, সীতা দেবী হয়ে যান দুলি বিবি, ঊষারাণী হয়ে যান রওশন আরা বেগম।

ছয়.

সেই থেকে এই জুটির পথচলা শুরু। শুরু হলো বাঙলা রেনেসাঁসে মুসলিম গীতিকবিদের চার-ছক্কার তোড়!

একদিন আব্বাসউদ্দীন নজরুলের বাড়িতে গেছেন একটা গজল লিখিয়ে আনতে। নজরুল তখন কোন একটা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। জোহরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আব্বাসউদ্দীন নামাজ পড়তে বেরিয়ে যেতে চাইলে কবি তাঁকে একটা পরিস্কার জায়নামাজ এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এখানেই পড়ে ফেলো।’

আব্বাস নামাজ পড়তে লাগলেন আর নজরুল সেই নামাজ পড়া দেখতে দেখতে খাতার মধ্যে কলম চালাতে লাগলেন।

আব্বাস উদ্দীনের নামাজ শেষ হলো নজরুলের লেখাও শেষ হলো। আব্বাদের হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে নজরুল বললেন, ‘এই নাও তোমার গজল!’

হাতে কাগজটি নিয়ে তো আব্বাস উদ্দীনের চক্ষু কপালে ওঠার জোগার। এই অল্প সময়ের মধ্যে নজরুল গজল লিখে ফেলছেন:

“হে নামাজী!

আমার ঘরে নামাজ পড়ো আজ,

দিলাম তোমার চরণতলে

হৃদয় জায়নামাজ!”

সাত.

প্রায় দেড়শ বছর আগে বাঙলার রেনেসাঁ শুরু হয়। সেই রেনেসাঁয় সবকিছুই ছিলো- ছিলো না শুধু বাঙালি মুসলমানের একটা অংশীদারিত্ব।

নজরুলের জীবনটারে যখন আমি ভেঙেচুরে দেখি তখন বারবার শুধু দেখতে পাই বাঙালি মুসলমানের মুখের ভাষা হয়ে ওনার কবিতা, ওনার গজল, ওনার প্রবন্ধ- কথা কয়। নজরুলের জন্মের ১২৫ বছর বাদেও নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা একবিন্দুও কমে না।

বাঙালির প্রতিদিনের পরিচয়ে নজরুলকে সবার কাজে লাগে। হিন্দুর লাগে, সেকুলারে লাগে, মুসলমানের লাগে।

কেবল একটা ধর্ম পরিচয়ের বেড়ে তাঁকে বাঁধা যায় না।

আজ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতরের উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যতোটা জনপ্রিয় ঠিক ততোটা জনপ্রিয় একটা মাত্র গানই হতে পারেছে সম্ভবত। রমজানের ঐ রোজার শেষে।

আজকে ঈদের শুভেচ্ছার পাশাপাশি আপনাদের অনুরোধ করবো পুরো গানের আদী অখণ্ড লিরিকটাকে এক নজর দেখে নিতে। তাহলে আপনি টের পাবেন নাজরুলের চোখে ইসলাম বস্তুটা আসলে কী ছিল? নজরুলের প্রকল্পটা কী ছিল? আমার এবারের বইমেলায় প্রকাশিত ‘বিদ্রোহী পুরাণ’ গ্রন্থে আমি নজরুলের যেই রাষ্ট্রকল্পের কথা বলেছি সেই প্রকল্পটা আরেকবার মিলিয়ে নিন:

“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।

তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ

দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ,

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে,

যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে,

তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী,

সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ,

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,

তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

তোরে মারল’ ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা,

সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ,

আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।”

—-

পাঠপ্রণামি ও ঈদ সালামির জন্য: বিকাশ ও নগদ- 01884500002

পাঠপ্রণামি মূলত একটা মুভমেন্ট। এ ধরণের লেখা শ্রমসাধ্য বিষয়। এই শ্রমিককে সম্মান দিয়ে পাঠক প্রণামি দেবেন। আপনার যা খুশি, সেই এমাউন্টটা যত ছোটই হোক আর যত বড়োই হোক, আপনি দিন। এটা লেখককে একটা অন্যরকম শক্তি দেবে।

লেখক লিখবেন, আর পাঠক তা পড়ে তার সাধ্যমতো প্রণামি দেবেন, এভাবে একটা এম্পেথেটিক বোধগম্যতার সম্পর্ক নির্মাণ হবে। এর মধ্য দিয়ে লেখার অর্থনৈতিক উপযোগ্যতা তৈরি হবে, আর অন্যদিকে লেখককেও যে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হয় সেটাকে পাঠক একনলেজ করবেন!

দিন শেষে লেখক প্রণামিগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্মানিত হয়, প্রেরণা পায়। পাঠকের সঙ্গে লেখকের সম্পর্কটা নিবিড় হয়। ধন্যবাদ!

লেখা: আরিফ রহমান,

লেখক ও সাংবাদিক।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বের ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে বিকাশ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন পাকিস্তান সরকারের

গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন: শফিকুল আলম 

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

বাকৃবির ফজলুল হক হলে তিন দিনের ফিস্টে উৎসবের আমেজ

জুরাইনে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ 

জানা গেলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচলের তারিখ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২৫০০০—৩০০০০ বেতনে চাকরি আরএফএল গ্রুপে, দেবে ভ্রমণ ভাতাসহ নানান সুবিধাও

নিয়োগ দিচ্ছে বিএসআরএম গ্রুপ

১০

যে কারণে ভারতে করিমগঞ্জের নাম বদলে শ্রী-ভূমি রাখা হলো

১১

র‍্যাগিং প্রতিরোধে বেরোবিতে অভিযোগ বক্স স্থাপন

১২

নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে আবু সাঈদ ও মুগ্ধের আত্মত্যাগের গল্প

১৩

সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ

১৪

আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল কেনিয়ার

১৫

সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন শুরু

১৬

১৪ বন্ধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে থাই নারীর মৃত্যুদণ্ড

১৭

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া, শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা: হাসনাত

১৮

সাত কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নিদের্শনা ঢাবির

১৯

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

২০