জাবি প্রতিনিধি: সোমালিয়ার মোগাদিসুতে অবস্থিত দারুসালাম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস মিজান।
গত ২ এপ্রিল দারুসালাম ইউনিভার্সিটির আচার্য ড. ওসমান মোহামেদ হাসানের পক্ষ থেকে ইউনিভার্সিটির ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ড. মিজানের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রফেসর মিজান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে ব্যবস্থাপনা পর্ষদে তাঁকে উপাচার্য হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, তিনটি স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ড. শেখ আসিফ এস মিজানকে দারুসালাম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এর আগে, তিনি সোমালিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটি অব মোগাদিসুর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আলফা ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব বুরোর পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুলের পূর্ণকালীন প্রফেসর, সিমাদ ইউনিভার্সিটি, জামুরিয়া ইউনিভার্সিটি, গোলিস ইউনিভার্সিটি, রিফটভ্যালি ইউনিভার্সিটি এবং নিউ জেনারেশন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছেন।
দেশে-বিদেশের জার্নালে ড. মিজানের বহু আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ‘নারী ও রাজনীতি’ নামে একাটি বইয়ের লেখক। তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করে পেপার প্রেজেন্টস, কিনোট স্পিকার, রিসোর্স পারসন ও চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রফেসর ড. মিজান বলেন, প্রথম বাংলাদেশি প্রফেসর হিসেবে বিদেশের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত ও পুলকিত। আমি আমার মা-বাবা ও দেশকে স্মরণ করছি। আমার ভিসি পদে নিয়োগ আল্লাহর রহমত এবং কৃতজ্ঞ ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সর্বদা পরম দয়ালু আল্লাহর রহমত কামনা করছি।বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মহান প্রয়াসে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, তিনি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক প্রয়াত মৌলভি জোবায়েদ আলী ও নূরজাহান বেগমের সন্তান। ডক্টর মিজান নিজেও একজন সমাজসেবক এবং রোটারি ক্লাব অব ঢাকা স্কলারসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক।
এসআই/
মন্তব্য করুন