হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে সকল অনুষদের (৮টি) শিক্ষকদের জন্য প্রাধিকার ভিত্তিতে গবেষণা ক্ষেত্র নির্ধারণের জন্য অনুষদ ভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) প্রথম দিনে সকাল ১০টায় অডিটোরিয়াম-২’তে কৃষি অনুষদের শিক্ষকগণের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের সম্মানিত ডীন প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইআরটির পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ। সঞ্চালনা করেন আইআরটির সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি করা, এই নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হবে গবেষণার মাধ্যমে। এটি ছাড়া নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা।
তিনি বলেন, কৃষিবিজ্ঞান হচ্ছে সবচেয়ে গতিশীল, প্রতিনিয়ত এটি পরিবর্তিত হচ্ছে, নতুন নতুন ধারণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি, একেকজন একেক বিষয়ে এক্সপার্ট। এক্ষেত্রে আমাদের গবেষণার জন্য প্রাধিকার ভিত্তিক গবেষণা ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে। যেমন দিনাজপুরের দুটি উল্লেখযোগ্য বিশেষত্ব হলো লিচু তথা বেদেনা লিচু ও কাটারিভোগ চাল। গবেষণা করে এগুলোর বৈশিষ্ট বিশেষ করে জিনগুলো আমরা আবিস্কার করতে পারি। বেদেনা লিচুর জিনোম সিকুয়েন্স আবিষ্কার করে এটি যদি আমরা অন্যান্য জাতের লিচুতে ট্রান্সফার করতে পারি তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সামনে আমরা হাবিপ্রবির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছি, এই ২৫ বছরে আমাদের কন্ট্রিবিউশন কী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা কী পেয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশকে আমরা কী দিয়েছি এটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।
এসআই/
মন্তব্য করুন