শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে চা-শ্রমিক ও খেলোয়ার কোটায় আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ব্যতিত অন্য সম্পর্কের কেউ এই কোটার জন্য আবেদন করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো: আবু সাঈদ আরফিন খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া শাবিপ্রবিতে ভর্তির নির্দেশিকা ও প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, চা-শ্রমিক সন্তান কোটায় এবার ৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। যা পূর্বে ছিল ৪ জন। এছাড়া খেলোয়ার কোটায় ১০ জন ভর্তি হতে পারবে। যা পূর্বে ছিল ৬ জন ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য প্রকাশিত নির্দেশিকা হতে জানা যায়, গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নেয়া পরিক্ষার্থীরা gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
এছাড়া কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (২৮ জন), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/জাতিসত্ত্বা/হরিজন-দলিত কোটায় ২৮ জন, প্রতিবন্ধী কোটায় ১৪ জন ও পোষ্য কোটায় ২০ জন শাবপ্রবিতে ভর্তি হতে পারবে। এবারে সর্বমোট কোটার জন্য ১০৫টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
ভর্তি নির্দেশিকা অনুসারে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটে পৃথকভাবে এবং ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটে অংশগ্রহণকারীরা ‘বি’ ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
বিজ্ঞান (এ) ইউনিটভুক্ত বিভাগগুলোর আসন পদার্থবিজ্ঞানে আসন সংখ্যা (৬৫), রসায়নে (৬৫), গণিতে (৮০), পরিসংখ্যানে (৮০), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (১০০), কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্সে (৫০), ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (৫০), সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (৫০), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (৫০) এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজিতে (৪০) আসন রয়েছে ।
এছাড়া পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আসন সংখ্যা (৩৫), ভূগোল ও পরিবেশে (৫০), মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (৩৫), সমুদ্রবিজ্ঞানে (৩০), সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (৫০), জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিতে (৩৫), বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজিতে (৩৫), ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে (৫৫), আর্কিটেকচারে (৩০) আসন রয়েছে।
‘বি’ ইউনিটভুক্ত (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়) বিভাগসমূহের মধ্যে রয়েছে-অর্থনীতিতে ( ৬৬), সমাজবিজ্ঞানে (৬৬), পলিটিক্যাল স্টাডিজে (৬৬), লোকপ্রশাসনে ( ৬৬), নৃ-বিজ্ঞানে (৬৬), সমাজকর্মে (৬৬), ইংরেজিতে ( ৫০) এবং বাংলায় ৬০) আসন রয়েছে।
‘সি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায়) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে (৭৫) আসন বরাদ্দ রয়েছে।
‘এ’ ইউনিটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৯৮৫টি ও কোটার জন্য ৭০টি সিট, ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০৬টি ও কোটার জন্য ২৯টি এবং ‘সি’ ইউনিটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৫টি ও কোটার জন্য ৬টি সিট বরাদ্ধ রয়েছে। এবার শাবিতে সাধারণ ও কোটায় সর্বোচ্চ ১৬৭১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ আরফিন খাঁন নোবেল বলেন, চা শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে ও খেলাধুলায় শাবিপ্রবির সুনাম বৃদ্ধি করতে চা-শ্রমিক ও খেলোয়ার কোটায় আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য আগামি ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট, ৩ মে ‘বি’ ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষা সারা বাংলাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে। এবার শাবি কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটে ৫৮১০ জন ‘বি’ ইউনিটে ২৪০৯ জন ও ‘সি’ ইউনিটে ৭২৯ জন অংশগ্রহণ করবে।
এসআই/
মন্তব্য করুন