এডুকেশন টাইমস
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ৯:১০ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

কুবি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন; পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য-শিক্ষক সমিতি-ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যকার ত্রিমুখী সংঘর্ষের পর উপাচার্য ড. এফএফএম আবদুল মঈন এবং শিক্ষক সমিতির নেতারা আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সংঘর্ষের পর বিকাল ৫টার দিকে উপাচার্য এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, ‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হয়ে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসে এবং সেখানে আমার সাথে তারা উচ্চবাচ্য করে, হুমকি-দামকি করে, গালিগালাজ করে। আমি তাদেরকে বারবার বলেছি, আপনারা আসুন, আলোচনা করি। উনারা কোনো রেসপন্স করে নাই। আমি উনাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট ডেকে কমিটি গঠন করেছি, কিন্তু উনারা সেটি মানলো না। উনাদের সাতটি দাবির চারটি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা কি করলো? ভিসি, আমার ট্রেজারারকে, আমার প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলো। ট্রেজারার স্যারকে রাত ৮টা অব্দি গেইটে রেখেছে। দপ্তরগুলোতে তালা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে, তারা আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কিভাবে?’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আমি প্রবেশ করতে গেলে উনারা (শিক্ষক সমিতি) আমার উপর আক্রমণ করেন। বিশেষ করে সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, প্রত্নতত্ত্বের মোর্শেদ রায়হান আরেকজন হলো মার্কেটিংয়ের একজন জুনিয়র শিক্ষক মাহফুজ। এই মাহফুজ ছেলেটা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে চেয়েছিলো। উনারা কিভাবে একজন ভিসির গায়ে হাত তুলেন এটা আমার জানা নেই। আমিতো ভিসি ছাড়াও একজন সিনিয়র শিক্ষক!’

পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন,  ‘আমাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে তিনটি দপ্তর তালাবদ্ধ ছিল সেগুলো প্রক্টরের নেতৃত্বে অছাত্র-বহিরাগত, বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের দ্বারা তালা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু আমরা কোনো সংঘর্ষে যাইনি। উনি আসার সময় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম, উনি (উপাচার্য) আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন, মোর্শেদ রায়হান স্যারকে কনুই দিয়ে আহত করেন, মাহফুজুর স্যারকে ঘুষি মারেন। সকল অছাত্ররা তখন আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা কেউ সেখানে যাইনি। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে অবস্থান করেছি। অথচ কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের মদদে অছাত্র, সন্ত্রাসীরা শিক্ষক সমিতির অফিসে লাথি মারে এবং তালা ভাঙার চেষ্টা করেন।’

তিনি আরো বলে, ‘পরবর্তীতে ঐ সন্ত্রাসীরা আবারো আমাদের উপর হামলা করে, সাবেক সভাপতি শামিমুল স্যার লাথি দিয়ে নিচে ফেলে মারধর করে। শুধু তারাই নয়, উপাচার্য নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে হামলা করেছেন, শিক্ষকদেরকে কিল-ঘুষি মেরে তিনি কার্যালয়ে গিয়েছেন।’

এসআই/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পলিটেকনিক-বুটেক্স শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২৮ জন ঢামেকে

বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

জাবিতে প্রাণরসায়ন ছাত্র সংসদের ভিপি বনি আমিন, জিএস ইমন

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পুরান ঢাকা

ববি শিক্ষার্থী রবিনের ‘ষোল আনা’

ওসির কথায় উজ্জীবিত হয়ে থানায় পিস্তল নিয়ে এলো চার শিশু

কুরআন দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ বেরোবি দাওয়াহ সোসাইটির 

যবিপ্রবিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে রিসার্চ সেলের সেমিনার

২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার

নিয়োগ দিচ্ছে আকিজ বেকারস, থাকছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা

১০

বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের যৌথ আক্রমণ, সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর, পরীক্ষা স্থগিত

১১

ইবিতে হাতেনাতে আটক দুই চোর, পুলিশে সোপর্দ

১২

পুরো সোহরাওয়ার্দী কলেজ এখন ধ্বংসস্তূপ: অধ্যক্ষ কাকলি

১৩

ইবির বঙ্গবন্ধু হলের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন উপাচার্য 

১৪

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১৮,০০০ বেতনে চাকরি জেন্টল পার্কে, যোগ্যতা এইচএসসি পাশ

১৫

খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রতিবাদে খুবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

১৬

আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই: নাহিদ ইসলাম

১৭

২ দিনের আল্টিমেটাম শেষে জাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা

১৮

ইবিতে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৯

পবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ, অভিযুক্ত ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

২০