ফরহাদ হোসাইন হিমু, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণার ১৫ মাস পেরিয়ে গেছে। কর্মীসভার ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। এখনো মেলেনি নতুন কমিটি। ২০২৩ সালের ৬ মার্চ কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ৯ অক্টোবর কর্মীসভার আয়োজন করা হলেও এখনো নতুন কমিটির ঘোষণা হয়নি। কবে নাগাদ আসতে পারে সে বিষয়েও নেই কোনো সঠিক ধারণা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা অনুসারে গত বছরের ৯ অক্টোবর কর্মীসভা আয়োজন শেষে পদ-প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হয়। জাতীয় নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কমিটি না দেওয়ার কারণ দর্শায় কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়করা। জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলেও আলোর মুখ দেখেনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। কবে আসবে নতুন কমিটি, তা জানে না ছাত্রলীগের নেতা কর্মী এবং পদপ্রত্যাশীরা।
এদিকে শিক্ষক-উপাচার্য দ্বন্দ্বে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। এছাড়া দলীয় অন্তর্কোন্দল ও অনিশ্চতায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অনেকে। কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। জাতীয় কোনো কর্মসূচি ব্যতীত পদপ্রত্যাশীদের দেখা মিলছে না ক্যাম্পাসে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি কমিটি থাকলে বর্তমান ক্যাম্পাসের এমন অবস্থা হতো না।
এই বিষয়ে পদপ্রত্যাশী এবং কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বলেন, ‘আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দিবে। অনেকদিন হয়ে গেল আমাদের কর্মীসভা হয়েছে। কমিটি দিতে বিলম্ব হওয়ায় আমরাও ব্যথিত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি আসবে। ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারব।’
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পদ প্রত্যাশী এনায়েত উল্লাহ জানান, ‘ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর কর্মীসভা হয়ে গেছে নয়-মাস হয়ে গেছে। পদ-প্রত্যাশী যারা আছেন, সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। অতিদ্রুত নতুন কমিটি দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে আমরা কথা বলেছি। দ্রুতই নতুন কমিটির ঘোষণা দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কবে আসবে নতুন কমিটি। বর্তমানে ক্যাম্পাসে কমিটি না থাকায় পদ-প্রত্যাশীসহ সাধারণ কর্মীদের কার্যক্রম জাতীয় দিবসগুলো ছাড়া খুব একটা নেই। হয়তো কমিটি না থাকার বড় কারণ কমিয়ে দিয়েছেন। যদি কমিটি থাকত ছাত্রলীগের সমস্ত কার্যক্রম বৃদ্ধি পেত।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘আমরা অতি শীঘ্রই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি প্রদান করব। যা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।’’
উল্লেখ্য, গতবছরের ৬ মার্চ সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা, শৃঙ্খলাহীনতা, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপে সম্পৃক্ততায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি (ইলিয়াস-মাজেদ) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় ৯ অক্টোবর কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসআই/
মন্তব্য করুন