জাবি প্রতিনিধি:
আন্তর্জাতিক গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট সলিউশনস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা (জিইএসসি)- ২০২৪ এর সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী৷
বাংলাদেশ থেকে সেমিফাইনালের জন্য নির্বাচিত একমাত্র দলটি ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। যার নাম ছিল জেইউ পলিপার্জ। চারজনের দলটিতে মো. আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে কাজ করেন ফায়াদ জামান খান, পূর্ণিমা কবির এবং ফাতিন ইদরাক। তারা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সেমিফাইনালে নির্বাচিত দল জেইউ পলিপার্জ এর দলনেতা মো. আব্দুল্লাহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ১ জুন শুরু হয়ে ৩ জুন চীনের সাংহাই প্রদেশের থংজি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ হয়। আয়োজক হিসেবে ছিল চীনের থংজি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনইপি (ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম)।
প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতায় পরিবেশ সংশ্লিষ্ট একটি সমস্যা নির্ধারণ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব জমা দেন। কয়েক ধাপ পেরিয়ে ছয়টি দলকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই ছয় দল আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসে সপ্তাহব্যাপী একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার দাওয়াত পায় এবং সেখানেই তারা তাদের সমাধানটি তুলে ধরেন। এবারের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৩৮টি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫৭টি প্রকল্প জমা হয়েছিল। নানা ধাপ পেরিয়ে ছয়টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
জেইউ পলিপার্জ এর দলনেতা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আজ অনেক গর্বিত কারণ আমি বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ছাত্র হিসেবে জেইউ পলিপাৰ্জ দলের দলনেতা হিসেবে চীনের সাংহাইয়ে আয়োজিত পরিবেশ ও স্থায়িত্বের আন্তর্জাতিক ছাত্র সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছি। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ আমার জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ছাত্রদের সাথে পরিচয় হওয়া, তাদের পরিবেশ গবেষণা সম্পর্কে জানা এবং আমার নিজের ধারণা ও অভিজ্ঞতা তাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ অর্জনে আমার দলের অন্যান্য সদস্যদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন ছাড়া আমার পক্ষে এই সম্মেলনে সফলভাবে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হতো না। এছাড়াও আমাদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়াকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আমাদের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন এবং আমাদের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ আমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। পরিবেশ ও স্থায়িত্বের বিষয়ে আমার দায়বদ্ধতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং আমি ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতায় পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, এই বছর চ্যালেঞ্জটি চারটি বিষয়ের উপর হয়। বিষয়গুলো হিউম্যান হেলথ, সার্কুলার ইকোনমি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জিরো-ওয়েস্ট সিটি। অংশগ্রহণকারীরা তাদের পছন্দের বিষয়টি বেছে নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন