ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশ এবং তা বিশ্ববাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৫০ সালে The Indian Council for Cultural Relations (ICCR) এর প্রবর্তন করেন। এই ICCR এরই একটি অংশ ICCR Scholarship।
সারা ভারতের বিভিন্ন কেন্দ্রীয়/প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউশন, NITs এবং কৃষি ইনস্টিটিউশcbর অধীনে ২৬টি স্কিমের আওতায় ১৪০টি দেশে ৩৯৪০টি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
এই স্কলারশিপের অধীনে প্রতিবছর ৬ হাজারের বেশি বিদেশী শিক্ষার্থী Engineering, Computers, Philosophy, Politics অথবা Classis বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।
এই স্কলারশিপের অধীনে একজন শিক্ষার্থী Undergraduate, Postgraduate, M-phil এবং Ph.D লেভেলে লেখাপড়ার সুযোগ পাবেন, তবে এ স্কলারশিপে মেডিকেলে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি স্কলারশিপ হলো এই ICCR SCHOLARSHIP.
সুবিধাসমূহ:
১. স্কলারশিপের অধীনে একজন শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভারতে শিক্ষা, চিকিৎসা এবং বসবাসের সুযোগ পাবেন।
২. প্রতি মাসে আঠারো থেকে পঁচিশ হাজার রুপি স্টাইপেন পাওয়ার সুয়োগ।
আবেদন সময়সীমা: ২০ ফেব্রুয়রি থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪।
আবেদন প্রক্রিয়া:
১. সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে এই লিংকে।
২. আবেদনকারীর মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে অথবা পাসপোর্ট আবেদনের স্লিপ থাকতে হবে।
৩. ইংলিশে দক্ষতা থাকতে হবে।
৪. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সব বিষয়ে গড়ে ৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে বা জিপিএ ৫ এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে অথবা জিপিএ ৪ এর মধ্যে ২.৫ থাকতে হবে।
৫. যারা BE/ B.Tech এ আবেদন করবেন,তাদের পাঠ্যক্রমে অবশ্যই পদার্থ, গণিত এবং রসায়ন থাকতে হবে।
৬. আবেদনকারীর বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে ৩০ বছর।
৭. আবেদনকারীকে কতৃপক্ষ কতৃক সরবরাহকৃত হোস্টেলে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে শারীরিক বা পারিবারিক কোনো প্রতিবন্ধকতা গ্রহনযোগ্য হবে না।
৮. একজন শুধুমাত্র একবারই আবেদন করবেন। একই তথ্যে একাধিক আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৯. যারা M.phil/Doctoral/ Post-doctoral এ আবেদন করবে তাদের আবেদনের সাথে Synopsis submit করতে হবে।
১০. যারা Arts performing এ আবেদন করবেন তাদের সাম্প্রতিক ভিডিও, অডিও, আর্টের পোর্টফলিও বা ইউটিউব লিংক আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
১১. আবেদনকারীকে সাদা ব্যাক গ্রাউন্ডে রঙিন ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
নির্বাচন মাধ্যম:
১. প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে যারা যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে আবেদন সম্পন্ন করবেন, তাদের ই-মেইলে ভারতীয় হাইকমিশন কতৃক পরীক্ষার স্থান, সময় ও প্রবেশপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়।
২. লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভারতীয় হাইকমিশনে ভাইভার জন্য ই-মেইলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
৩. চূড়ান্তভাবে ভাইভাতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ প্রদান করা হয়।
ভারতীয় সরকার প্রতিবছরই এই স্কলারশিপটি প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশের চারটি বিভাগীয় শহর ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী থেকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়।
সাধারণত বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রথম তালিকায় থাকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কলকাতা বিশ্বিবদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, NIT, খড়গপুর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
২০২৩ সালে আইসিসিআর স্কলারশিপ তথ্য অনুসারে হাই কমিশনগুলোতে প্রাপ্ত স্কলারশিপ:
১. ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা ৩৩০ জন স্কলারশিপে মনোনীত
২. ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, রাজশাহী ৬৩ জন স্কলারশিপে মনোনীত
৩. ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, চট্টগ্রাম ৭৭ জন স্কলারশিপে মনোনীত
৪. ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, খুলনা ৪৫ জন স্কলারশিপে মনোনীত
৫. ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন, সিলেট ২৮ জন স্কলারশিপে মনোনীত
সর্বমোট ৫৫০ জন এই স্কলারশিপ পেয়েছেন।
অ্যাপ্লিকেশন করুণ এই লিংকে।
লেখক: আহম্মেদ শাকিল (ICCR Scholar 2021)
এসআই/
মন্তব্য করুন