রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, ছাত্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে, সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, লিগ্যাল সেল, যৌন নিপীড়ন সেল, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যগণ এবং ডরমেটরি প্রশাসকসহ ১৭ হলের প্রভোস্টদের দায় স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদ।
তারা এক বিবৃতিতে লিখেছেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, লিগ্যাল সেল, যৌন নিপীড়ন সেল, ১৭ হলের প্রভোস্ট, ডরমেটরি প্রশাসক, অবৈধ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে রাজাকার ও আল-বদরের ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা তাদের ফ্যাসিবাদী ‘আম্মো”র মতো টেনেহিঁচড়ে বের করতে বাধ্য হবে। কোনো অবস্থাতেই পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত কারণ দেখানো চলবে না।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয় গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এই স্বৈরশাসক মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখছিল। এই ছাত্রসমাজ যখন এই অধিকার আদায়ে কাজ করে তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ প্রশাসনের সবাই মিলে ছাত্রদের উপর সরকারি গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আক্রমন করে। আমরা মনে করি এই যুদ্ধে তারা রাজকারের ভূমিকায় ছিল। তাই আমরা সমন্বয়ক পরিষদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাই ভিসিসহ সকলেই পদত্যাগ করুক। এবং সেটা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে হবে। ছাত্রদের উপর হামলার জন্য তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। কোনো ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করা যাবে না।
আরেক সমন্বয়ক মেহেদি সজিব বলেন, আমরা একটা ন্যায্য দাবির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছি। এমন একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নামধারী শিক্ষকরা শুরু থেকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। উনারা সরাসরি স্বৈরাচারের দোসর। আমরা মনে করি তারা তাদের পদে বহাল থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন