শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো.আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃবিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃবিতে বলা হয়, এমন বৈষম্যমূলক ও একচোখা প্রজ্ঞাপনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরম উদ্বিগ্ন ও গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তুষ্টি, গভীর উৎকণ্ঠা ও ভীষণ হতাশা কাজ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে শিক্ষকদের অমর্যাদ্য, অবজ্ঞা ও অবহেলা কওে সভ্যতার ইতিহাসে কোনো জাতির উন্নতি হয়েছে এর নজির নেই। কারণ জ্ঞানের চেয়ে বড় দ্বিতীয় কোনো শক্তি পৃথিবীতে নেই, এবং শিক্ষক বিদ্যা ও জ্ঞানের সেবক। আর বিশ্বায়নের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক, তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। শিকড় কেটে বৃক্ষের কাছে ফল প্রত্যাশা করা আর শিক্ষকদের অবহেলা করে উন্নত জাতি গঠনের চিন্তা সমান্তরাল। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একই বেতন স্কেলে ভিন্ন ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এম.পি-র উন্নত, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন গভীর অন্তরায় বলেও শাবি শিক্ষক সমিতি মনে করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার কোন দূরভিসন্ধি এবং সরকার ও শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর কোন ষড়যন্ত্র কিনা শাবি শিক্ষক সমিতি তাতে সন্দিহান। তাই শাবি শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকণ্ঠা, অসন্তুষ্টি লাঘব করার জন্য অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক, অবান্তর এবং অগ্রহণযোগ্য প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’
এসআই/
মন্তব্য করুন