জাবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারের নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজী (২০) হত্যার ঘটনায় জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিন ছাত্রলীগ নেতা ও দুই কর্মকর্তা সহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিহত শ্রাবণ গাজীর বাবা মো. মান্নান গাজী বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত শ্রাবণ গাজী ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ডেইরিফার্ম এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার আসামীরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান লিটন, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল আলম তাকিদ, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ও কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান সাগর। এছাড়াও ঐ মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৯ এর সাবেক এমপি ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, ঢাকা-১৯ এর সদ্য সাবেক এমপি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র আঃ গণি, সাভার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা, বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সুজন ও সেলিম মন্ডলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনের দিন সাভার নিউ মার্কেটের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শ্রাবণ গাজীকে উল্লেখিত আসামীরা সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ও আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী গুলি করে। এসময় শ্রাবণ গাজীর মাথার বিভিন্ন অংশে গুলিবিদ্ধ হলে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সাভারের গনস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রাবণ গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এই হত্যার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শ্রাবণ গাজীর বাবা জ্ঞাত ৮৫ জন সহ আরও অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
এসএস/
মন্তব্য করুন