ফরহাদ হোসাইন হিমু, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতি সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে গত ১৩ ও ১৪ মার্চ ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর আবার ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস নিয়মিত ক্লাস বর্জন করা হলেও চলছে সান্ধ্যকালীন ক্লাস। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে চালু থাকা সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাসগুলো শুক্রবার এবং শনিবার হয়ে থাকে। গত শুক্রবার এবং শনিবার রুটিন অনুযায়ী ক্লাসগুলো হয়েছে।
নিয়মিত ক্লাসের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষক সমিতি নিয়মিত ক্লাসেই শুধু তাদের ঘোষণা বাস্তবায়ন করেছে সান্ধ্যকালীন কোর্সে করেনি কেন?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিয়মিত ক্লাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির এই সিদ্ধান্তের কারণে শুধু আমরা নিয়মিত ক্লাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। উনারা ঠিকই সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষকদের রাজনীতি কী শুধু নিয়মিত ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে? ভুক্তভোগী কী শুধু আমরাই হবো?’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এমনিতেই সেশনজট আছে। তার ওপর এমন সিদ্ধান্ত আমাদের আরও ক্ষতির মুখে ফেলছে। সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস চললে আমাদের কেন চলবে না?’
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান বলেন, ‘এটি সাংঘর্ষিক না। কারণ, শিক্ষক সমিতির ঘোষণা ছিল বুধবার এবং বৃহস্পতিবার। পরবর্তীতে কোনো ঘোষণা ছিল না। সুতরাং, শুক্রবার-শনিবার কর্মসূচিরই আওতামুক্ত ছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এগুলো হচ্ছে কার্যনির্বাহী কার্যক্রম। এটির সাথে দৈনিক কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই৷ কার্যনির্বাহী কার্যক্রম আলাদাভাবে চলে। সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী না৷ তাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বা নিয়মিত কার্যক্রমের সাথে এটির কোনো সম্পর্ক নেই।’
এসআই/
মন্তব্য করুন