বিএসএমআরএমইউ প্রতিনিধি: জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড মেরিন বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিকটু অসংখ্য ভুল।
গত ১৯সেপ্টেম্বরে, ২০২৪ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড মেরিন বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে গবেষণায় জালিয়াতি সহ ইউনিভার্সিটির নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে একটি সংবাদ প্রচার হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ পোর্টালে। প্রকাশিত উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজ হতে অসংখ্য ভুলে ভরা একটি প্রতিবাদ লিপি প্রকাশ করে ২৪ই সেপ্টেম্বরে। উক্ত ভুলে ভরা প্রতিবাদ লিপিতে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়-
প্রতিবাদ লিপিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ না করে শিরোনাম করা হয়েছে ‘মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ বরং শিরোনামটি হবে- ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’। এ জাতীয় প্রতিবাদ লিপিতে প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তারিখ লিখবার ক্ষেত্রে প্রতিবাদ লিপিতে তে উল্লেখ করেছে – ‘১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪’ অথচ সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এটি হওয়ার কথা ছিল – ‘১৯সেপ্টেম্বর, ২০২৪’। তারিখ লেখার সময় কমা ব্যবহার করতে হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে আরো উল্লেখ ছিল – ‘ভুল ও বানোয়াট বিভ্রান্তিকর’ অথচ বাংলা ব্যাকরণিক নিয়ম অনুযায়ী এটি হওয়ার কথা ছিল – ‘ভুল,বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর’। যুক্তবর্ণ ব্যবহারেও খামখেয়ালিপনা দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘ক্ষুণ্ণ’ (যুক্তবর্ণটি হলো ণ্ + ণ) বানানটি তারা অসুদ্ধ ভাবে ‘ক্ষুন্ন’ হিসাবে উল্লেখ করেছে । বিদেশি শব্দে ঈ-কার ব্যবহৃত হয় না। বিদেশি শব্দে ঈ-কার ব্যবহৃত করে তারা ‘রিট’ কে ‘রীট’ হিসাবে লিখেছে। অথচ এটি জার্মান শব্দ থেকে এসেছে। ‘সতর্ক’ বানান লিখতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মোটেও সতর্ক ছিল না যার ফলে উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে সতর্ক হয়ে গিয়েছে ‘সর্তক’। ই-কার কিংবা ঈ-কার ব্যবহারেও ছিলনা কোন নিয়মের বালাই। যাতে করে ‘নিপীড়ন’কে লেখা হয়েছে ‘নীপিড়ন’ হিসাবে । এছাড়াও ছিল অসংখ্য ভুল যেমন – ‘এ লক্ষ্যে’ লিখতে গিয়ে লেখা হয়েছে- ‘এলক্ষ্যে’, ‘এ পর্যন্ত’ না লিখে লেখা হয়েছে ‘এপর্যন্ত’, ‘অসদুপায়’ কে বিকৃত করে ‘অসুদপায়’ লিখা হয়েছে।
একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে এরূপ বেখেয়ালিপনা দেখে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও।
এসএস/
মন্তব্য করুন