জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বাস আটকে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির ঘটনায় ১ সাধারণ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড)। সজীব মণ্ডল নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে শহিদ রফিক জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদ রানাকে প্রধান এবং জাহানরা ইমাম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুর্শেদা বেগম, সহকারী প্রক্টর মো. রনি হোসাইন ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজলকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (সাময়িক দায়িত্ব প্রাপ্ত) এবং ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ ঈদে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বাসের টিকিট কাটতে নবীনগর গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব মণ্ডল। কিন্তু গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহণ সাধারণ সময়ের তুলনায় ভাড়া বেশি চায়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে সজীব বিষয়টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের জানান। এরপর ওই হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আলহামরা পরিবহনের একটি বাস আটক করেন। পরে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়ার বিষয়টি পাশ কাটিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বাস কোম্পানির কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে বাস ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে সজিব মণ্ডল বলেন, আমি সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সেদিন প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। টিকিট কাউন্টারে আমার সাথে যে দুর্ব্যবহার এবং আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে তা যাতে অন্য কোনো শিক্ষার্থীর সাথে না করা হয় সেজন্য আমি প্রতিবাদ করি। চাঁদা নেওয়ার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (সাময়িক দায়িত্ব প্রাপ্ত) অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘ঘটনাটি সজিবকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছে বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দায়ীদের শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে সজিবের কোনো দায় না পাওয়া গেলে তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।’
এসআই/
মন্তব্য করুন