রাবি প্রতিনিধি: সম্প্রতি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাহুকের যৌথ উদ্যোগ ‘গ্লোবাল রিপ্রেজেন্টেশন অফ রাজশাহী: এমপাওয়ারিং ইউথ এন্ড ন্যাটিভস’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সর্বোচ্চ একাডেমিক পুরস্কার- ‘পিএমআই বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ এর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে। আর শ্রেষ্ঠ প্রকল্প পরিচালকে’র মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছেন, জনাব মাগফি রেজা সিদ্দিক।
গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার অভিজাত হোটেল র্যাডিসন ব্লু তে এক জমকালো আয়োজনে পুরষ্কারটি তুলে দেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিএমআই, বাংলাদেশ।
প্রকল্পটির পরিচালক, মাগফি রেজা সিদ্দিক ইউনিভার্সিটি অফ ইউট্রেখট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াখিনিগেন, নেদারল্যান্ডস থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং একজন বহি:পরামর্শক এবং উন্নয়ন কৌশলবিদ হিসাবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন প্রকল্প সমূহে কাজ করে আসছেন।
মাগফি রেজা সিদ্দিকের নেতৃত্বে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত গবেষণা সংস্থা ‘ডাহুক’ প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একাডেমিক স্বীকৃতির- ‘ ককন্ট্রিবিউশন টু দি কমিউনিটি’ বিভাগে ‘পিএমআই সাউথ এশিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’-এ ভূষিত হয়। ২০২৪ সালে ‘ওয়ার্ল্ড পলিসি ফোরাম’ এর ‘রিম্যাজিন বিজনেস’ বিভাগে শীর্ষ ১৫ ইয়ং গ্লোবাল চেঞ্জারের তালিকাভুক্ত হওয়ার বিরল সম্মান লাভ করেছেন এই তরুণ প্রকল্প পরিচালক। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওর অঞ্চলের নৌকার মাঝি সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য যে, ‘গ্লোবাল রিপ্রেজেন্টেশন অফ রাজশাহী: এমপাওয়ারিং ইউথ এন্ড ন্যাটিভস’ শীর্ষক প্রকল্পটি ঐত্যিহ্যবাহী রাজশাহী শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক সহনশীলতা, অধিবাসীদের পরিবেশ বান্ধব আচরণ, বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার, আর পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিচিতি আনয়ন লক্ষ্যে কাজ করছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে প্রস্তাবকৃত সামাজিক বিনিয়োগ ধারণা- ‘ইন্টিগ্রেটেড সোশ্যাল ক্যাপিটাল’ মডেলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্মিলিত বিনিয়োগ উপকরণসমূহ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ স্কিমে ২০০ জনকে সংযোজিত হয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় ৫০০ জন স্থানীয় অধিবাসীকে দক্ষ জীবনমান সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে শহরের প্রথম পর্যটন ম্যাপ। একটি পর্যটনসেবা প্রদাণকারী ওয়েবসাইট নির্মাণাধীন রয়েছে।
এছাড়াও আগ্রহী আবাসন মালিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে- ‘রাজশাহী প্রগ্রেসিভ হোমস্টেড ওনার্স এসোসিয়েশন। (প্রস্তাবিত) এ প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের পর্যটন খাতের কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাগফি রেজা সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ কর্মসংস্থান বা উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোতে স্থানীয় জন-মানুষের তেমন প্রতিনিধিত্ব থাকে না। তারা কতটুকু কাজ করতে পারবে, তাদের সহনশীল অন্তর্ভুক্তিটা কতটুকু সেটার বিচার বিবেচনার দরকার আছে। সেটাকে যদি সঠিকভাবে বিচার বিবেচনা করা যায় তাহলে অনেক কম খরচে এবং সার্বিক সংযুক্তি নিশ্চিত করে প্রকল্পগুলো শেষ করা সম্ভব। আমরা এই প্রকল্পটি করার ক্ষেত্রে রাজশাহী শহরের লোকের সাংস্কৃতিক সহনশীলতা, তাদের কর্মসংস্থানের সহনশীলতা, তাদের ঐতিহ্য, তাদের ভাবনা চিন্তা কাজে লাগিয়েছি। আমরা আশা করছি এটা রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের দীর্ঘ সুফল যোগ করবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন