শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘ইনফেন্সি আইটি’ নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রশাসন। ইনফেন্সি আইটির ‘স্মার্ট রিক্রোটমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যারের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন। অপরদিকে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ইনফেন্সি আইটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু শাহরিয়ার রাতুল।
মো. আবু শাহরিয়ার রাতুল বলেন, ‘স্মার্ট রিক্রোটমেন্ট সিস্টেম’ একটি অনলাইন বেইজ সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে শাবিপ্রবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই আবেদন করতে পারবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শাবিপ্রবিতে আবেদনের যে প্রক্রিয়া রয়েছে এতে একজন আবদেনকারীকে তার সকল ধরনের ডকুমেন্টস ৮কপি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি এসে অথবা ডাক যোগে পাঠাতে হয়। এছাড়া ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে মানিঅর্ডার সংযুক্ত করে দিতে হয়। ডাক বিড়ম্বনার কারণে অনেক সময় আবেদন করা সম্ভব হয় না। অর্থের ও সময়ের অনেক অপচয় হয়।
শাহরিয়ার বলেন, আমাদের এই প্রক্রিয়া ‘স্মার্ট রিক্রুটমেন্ট সিস্টেমে’ একজন প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আসতে হবে না। প্রথমে তার নাম ও আইডি কার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে তার নামে একটি প্রোপাইল তৈরি হবে। এই প্রোপাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগের হালনাগাদ তথ্য থাকবে। তিনি প্রোফাইলের লগইন করে ঘরে বসে সকল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারবেন। তখন প্রার্থী যে পজিশনের জন্য যোগ্য সেই পজিশনের জন্য সিভি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ঘরে বসে আপলোড করবে। পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদনের ফি জমা দিবে। সাথে সাথে আবেদনকারীর কাছে একটি আবেদন সম্পন্ন হওয়ার ম্যাসেজ ও ই-মেইল যাবে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যাচাই বাছাই করে যাদেরকে ভাইবার জন্য যোগ্য মনে করবে তাদের ভাইবার তারিখ ও সময় জানিয়ে দিবে। আবেদনকারীকে ইমেইলের মাধ্যমে এডমিট কার্ড প্রদান করা হবে। তিনি সেটি ডাউনলোড করে ভাইবা নিয়ে আসতে পারবেন।
শাহরিয়ার বলেন, এতে করে আবেদনকারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ভোগান্তি ও সময় নষ্ট হবে না। অর্থের অপচয়ও রোধ হবে। যেহেতু অনলাইনে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সকল কিছু তত্ত্ববধান করা হবে তাই কে আবেদন করেছে, কে ভাইবা দিচ্ছে এসকল তথ্যের ইতিহাস সফটওয়্যারে থেকে যাবে। তাই এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা অনেক বেশী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আ ফ ম মিফতাউল হক ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. এ এফ এম সালাউদ্দিন।
এসএস/
মন্তব্য করুন