জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২তম ব্যাচের) স্নাতক শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রবেশিকা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফসানা হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রায় দুই হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।
এ অনুষ্ঠানের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ২০২৪’ এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছপালা, জলাশয়, মৎস্য এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ যে সম্পদ আছে, তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিস বা ব্যক্তি আছেন। শিক্ষার্থীরা সেসবে নিজেকে সংযুক্ত করার অপসংস্কৃতিতে জড়াবে না বলে আশা প্রকাশ করছি।
প্রবেশিকা বক্তা ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানায়। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোমাদেরকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হতে হবে যাতে সবাই তোমাদের খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
এ প্রবেশিকা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এসেছি। দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।
নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার ,শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এসআই/
মন্তব্য করুন