হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: কৃষিপ্রধান আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধ করতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আয়োজিত হয় রিজিওনাল পরিবেশ অলিম্পিয়াড -২০২৪৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল এন্ড রিলেটেড সাইন্স (ইয়াস) বাংলাদেশ এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। অলিম্পিয়াডে সার্বিক সহযোগিতা করেছে নেদারল্যান্ডের একটি সিড কোম্পানি রিজক জাওয়ান।

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৯টায় প্রতিযোগীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শুরু হয় সমাপনী দিনের কার্যক্রম। এরপর ওয়ার্কশপ সেশন, কুইজ, আইস ব্রেকিংসহ নানা আয়োজনে সাজানো ছিল দিনটি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইয়াস বাংলাদেশের এইচএসটিইউ শাখার লোকাল ডিরেক্টর মো. মহিদুল ইসলাম।

অলিম্পিয়াডের শেষ দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, ক্রপ ফিজিওলজি এন্ড ইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক, জেনারেল এনিমেল সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির হোসেন সবুজ, রিজক জাওয়ান’র এশিয়া সেলস ম্যানেজার আহমেত টুনালি ও তার প্রতিনিধি দল এবং ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিক এর রিজিওনাল এক্সটার্নাল রিলেশন কো-অর্ডিনেটর মোঃ মেহেদী হাসান তুষারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

রিজক জাওয়ান’র এশিয়া সেলস ম্যানেজার আহমেত টুনালি বলেন, আমি বিগত নয় বছর থেকে কৃষি ও কৃষির সাথে সমৃক্ত বিজ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করছি।

তিনি আরো জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস তাকে বেশি বিমোহিত করছে।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, এ রকম প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমার ভালো লাগছে৷ আমি যদিও কোনো ইভেন্টে জয় লাভ করতে পারি নাই কিন্তু তবুও কোনো খারাপ লাগতেছে না৷ আগামী বছর আরো ভালো করে চেষ্টা করবো৷

সবশেষে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডে দিনাজপুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এসআই/