চবি প্রতিনিধি: সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে এ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষক নেতারা।
গত ১৩ মার্চ সরকার সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী চাকরিতে যোগ দেবেন তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।
প্রজ্ঞাপনটিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে সেটি প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রর্বতনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, আপনারা জানেন আমরা অনেক দিন ধরেই এ আন্দোলন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা উপরমহল থেকে কোনো আশার বাণী পাইনি। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকরা ক্লাস – পরীক্ষাসহ সকল দাপ্তরিক কাজ থেকে বিরত রয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ.বি এম নোমান বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিয়মের ফলে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার মর্যাদা ভূলন্ঠিত হচ্ছে। আমরা শুধু টাকার জন্য শিক্ষকতা করি না। বাংলাদেশ সরকারের ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। আমরা কখনো তাদের সাথে এ বিষয়ে কম্পেয়ার করি না। তবুও বিভিন্ন স্কিমের মধ্যে ফেলে আমাদের অবদমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, একই সময় একই দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।
এসআই/
মন্তব্য করুন