বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ (বশেমুরবিপ্রবি) সি এস ই ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ আল রাফি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে তার নিজ জেলা কুমিল্লা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।
কুমিল্লা জেলা কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯তারিখ জেলার টমছম ব্রীজ এলাকায় রাফিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার নিকট ককটেল পাওয়ার দাবি করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাফি ১৮ তারিখে ১১টি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল এবং আটকের সময়ও তার শরীরে দুইটি রাবার বুলেট ছিলো।
রাফির আটকের ব্যাপারে বশেমুরবিপ্রবির বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজিদা হক মিশু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে জানতে পারেন৷ তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়কের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তিনি রাফির জামিনের ব্যাপারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
যোগাযোগকারী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী তোহা জানান, “রাফি’র মুক্তি নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি পরিবার গ্রুপের আমার একটা পোস্ট দেখে ম্যাম কল দিয়েছিলেন, পোস্টে উল্লেখ ছিলো থানায় থাকাকালীন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মুচলেখা দিলে ছাড়িয়ে আনতে পারতেন। রাফি’র মুক্তির জন্য আইনি ভাবে কি কি করা যায় ম্যাম সর্বাত্মক সহায়তা করবেন আমাদের যেকোনো প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছেন।”
তিনি আরো জানান, “ম্যাম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,আইনজীবী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে চেষ্টা করছেন।একটা ভালো সংবাদ পাবো আশা রাখছি। কোনো গ্রিন সিগন্যাল পেলেই ম্যামও কুমিল্লায় যাবেন বলেছেন।”
এ বিষয়ে ড. সানজিদা হক মিশুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “রাফির পরিবার এবং রাফির আইনজীবীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। রাফির জামিনের ব্যাপারে তিনি কুমিল্লার একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করেছেন৷ নিম্ম আদালতে জামিন না হলে উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবীর সাথেও তিনি ইতোমধ্যে কথা বলেছেন।”
ড. সানজিদা হক দুঃখ প্রকাশ করে জানান,”আমি গ্রেফতারের বিষয়টি চব্বিশ ঘণ্টা পরে জেনেছি। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জানলে আমি মুচলেকা দিয়ে রাফিকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করতাম।”
এএকে /
মন্তব্য করুন