ববি প্রতিনিধি:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চালু রাখার পক্ষাবলম্বনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদ-এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। শনিবার (৮ই আগস্ট) বিকেলে সমন্বয়ক পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘোষিত প্রাণের নয় দফা দাবীর অন্যতম একটি দফা ছিল “ক্যাম্পাসগুলোতে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা”।
অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র সংসদ ব্যতিত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সমর্থন করেনা। যেহেতু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দাবী ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সকল ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সেহেতু, এমন ব্যক্তি যারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দলীয় রাজনীতির পক্ষাবলম্বন করেন। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবী করতে পারেন না। যে সকল সমন্বয়ক ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চলমান রাখার পক্ষাবলম্বন করেছেন, সেই সকল সমন্বয়কদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক পরিষদ-এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
আরো বলা হয়, কেন্দ্র ঘোষিত পরিষদে আমাদের অনেক অগ্রগামী সহযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় আমাদের বর্তমান পরিষদটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে আমরা মনে করি।শীঘ্রই আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ত্যাগী,সংগ্রামী এবং অগ্রগামী সহযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ পরিষদ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র সংসদ ব্যাতিত কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি চাইনা। অতএব, যদি কখনও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা দিবে, সেদিন থেকে আমরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করবোনা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকেই অরাজনৈতিক ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের একটা পর্যায়ে যখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতা চালায় তখন আরো বেশ কিছু দাবির সাথে ক্যামপাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিও ওঠে। তখন সবাই দলমত নির্বিশেষে এই দাবীর পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যায়।কিন্তু আজ যখন স্বাধীন দেশ পেলাম আমরা তখন দেখলাম আমাদের মধ্যেই কিছু মানুষ ঘুরে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণে দাবীর বিপক্ষে দাড়িয়ে গেল।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন