এডুকেশন টাইমস ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত চার পর্বে ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রোববার (২৪ মার্চ) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে তালিকা সরকার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে, তাতে আরও ১১৮ জনের নাম যুক্ত করেছে ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রথম দফায় ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের ২৯ মে দ্বিতীয় তালিকায় আসে ১৪৩ জনের নাম। আর তৃতীয় দফায় এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামের গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সরকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ের জন্য যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের নাম প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। তাতে কমিটির সদস্য ১১ জন। এরপর দুটি উপকমিটি গঠিত হয়। একটি কমিটির কাজ ছিল ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী’র সংজ্ঞা নির্ধারণ করা। অন্য কমিটির কাজ সংজ্ঞা অনুসারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম সংগ্রহ ও তা যাচাই-বাছাই করা।
এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২১ মার্চ শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যে সকল সাহিত্যিক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক, সমাজসেবী, সংস্কৃতিসেবী, চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত ও শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিংবা তাদের সহযোগীদের হাতে শহীদ কিংবা চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন, তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী।’
জানা গেছে, মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে সাহিত্যিক ১৮ জন, দার্শনিক ১ জন, বিজ্ঞানী ৩ জন, চিত্রশিল্পী ১ জন, শিক্ষক ১৯৮ জন, গবেষক ১ জন, সাংবাদিক ১৮ জন, আইনজীবী ৫১ জন, চিকিৎসক ১১৩ জন, প্রকৌশলী ৪০ জন, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী ৩৭ জন, রাজনীতিবিদ ২০ জন, সমাজসেবী ২৯ জন, সংস্কৃতিসেবী এবং চলচ্চিত্র, নাটক, সঙ্গীত, শিল্পকলার অন্যান্য শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ৩০ জন।
এএআর/
মন্তব্য করুন