এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: আড়াই ঘণ্টা পর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ। দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে চলমান সংঘর্ষ থামাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
দুই পক্ষের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এরপর সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই এলাকায় যান চলাচলা শুরু হয়েছে।
দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউ মার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে গতকাল মঙ্গলবারের একটি ঘটনা। পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রের একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে তাঁদের সঙ্গে সিটি কলেজের কয়েক শিক্ষার্থীর হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে আজ বেলা ১১টার দিকে সিটি কলেজের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করেন। পাল্টায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা জোটবদ্ধ হয়ে সিটি কলেজে গিয়ে ভাঙচুর করেন।
পরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে বিকেল ৩টার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ের দিকে এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এগিয়ে আসেন। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সায়েন্স ল্যাবের আশপাশের সড়কগুলোতে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন