এডুকেশন টাইমস
২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে আবু সাঈদ ও মুগ্ধের আত্মত্যাগের গল্প

নিউজ ডেস্ক:

আগামী বছরের নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধের আত্মত্যাগের গল্প। ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেদ্রিক দেয়ালজুড়ে আঁকা গ্রাফিতির পাশাপাশি তুলে ধরা হচ্ছে দেশের ইতিহাসের নায়কদের বীরত্বগাথা অবদানের কথা।

একইসাথে পাঠ্যবই থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং উদ্ধৃতি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে ব্যস্ত সময় কাটছে ছাপাখানাগুলোয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে নতুন বছরের পাঠ্যক্রমও। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকেই দেয়া হবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি বই। তবে কিছুটা পরিমার্জন হয়ে বদল হচ্ছে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবই। নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে মোটা দাগে বেছে নেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাতিল করা ২০১২ সালের পাঠ্যক্রম।বিশেষভাবে স্থান পাচ্ছে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুাত্থান।

নতুন বছরের পাঠ্যসূচিতে থাকছে আবু সাঈদ এবং মীর মুগ্ধের কৃতিত্বগাথার গল্প। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ৬৯, ৯০ এ এরশাদ স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে। এবার আমাদের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ২৪ সালে। এই তিন সময়ে অনেক ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।একইসাথে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশের সঠিক ইতিহাস।

বাংলাদেশের গৌরব-উজ্জ্বল ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কৃতিত্ব, ৭ মার্চের ভাষণ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা, মাওলানা ভাষানীর সংগ্রামী জীবনের পাশাপাশি থাকছে জাতীয় চার নেতার ভূমিকা।

এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান বলেন, সেই সময় তো জিয়াউর রহমান কোনো রাজনৈতিক দল করেননি। তিনি দেশপ্রেমিক সৈনিক হিসাবে সেই সময়ের মধ্যে তার দায়িত্বটুকু পালন করেছেন। সব মিলিয়ে তার যে ভূমিকা সেটা তো মুছে ফেলার সুযোগ নেই। চার নেতা মারা গেছেন ৩রা নভেম্বর। জেলখানায় তাদেরও ভূমিকা রয়েছে নি:সন্দেহে। অন্যদিকে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার নাম কেনো বাদ যাবে।

গত ১৭ বছর পাঠ্যবইয়ে ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন ছবি এবং বক্তব্যের উদ্ধৃতি। দৃষ্টিকটু এসব লেখা-ছবি বাদ দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বইয়ের মূল পৃষ্টার পরের ও পেছনের পৃষ্টায় এই দলীয় প্রচার প্রোপাগান্ডার ছবি এবং তার বর্ণনা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । শিক্ষার্থীরা তো ওই বইটা একটা বিষয়ের বই হিসাবে দেখতে চায়। তাদের স্বপ্নের কথা শুনতে চায়। কোনো দলের কথা তো শুনতে চায় না, এটা তো চাওয়ার কথা না। পাঠ্যপুস্তক তো কোনো দলীয় বিষয়ের বই হতে পারে না।

 

/ইএইচ

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

বাকৃবির ফজলুল হক হলে তিন দিনের ফিস্টে উৎসবের আমেজ

জুরাইনে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ 

জানা গেলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচলের তারিখ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২৫০০০—৩০০০০ বেতনে চাকরি আরএফএল গ্রুপে, দেবে ভ্রমণ ভাতাসহ নানান সুবিধাও

নিয়োগ দিচ্ছে বিএসআরএম গ্রুপ

যে কারণে ভারতে করিমগঞ্জের নাম বদলে শ্রী-ভূমি রাখা হলো

র‍্যাগিং প্রতিরোধে বেরোবিতে অভিযোগ বক্স স্থাপন

নতুন পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে আবু সাঈদ ও মুগ্ধের আত্মত্যাগের গল্প

সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ

১০

আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল কেনিয়ার

১১

সোনালী ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন শুরু

১২

১৪ বন্ধুকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে থাই নারীর মৃত্যুদণ্ড

১৩

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া, শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা: হাসনাত

১৪

সাত কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নিদের্শনা ঢাবির

১৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

১৬

শীতের শুরুতেই জাবিতে নৈশপ্রহরীদের শীতবস্ত্র উপহার দিলো ছাত্রশিবির

১৭

ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস

১৮

‘জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ’

১৯

জাবিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: দ্রুত বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল

২০