এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ঢাকাসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলো সচল করাসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই মুহূর্তে দলটির সব মনোযোগ দুটি বিষয়ে—এর একটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং দল নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াত আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে নির্বাহী আদেশে দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত।
জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা ও নিবন্ধন—দুটি বিষয়ে আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করছেন।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেদিনের বৈঠকে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কোন বৈধতায় সম্মানিত উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওই বৈঠকে তাৎক্ষণিক একজন উপদেষ্টা এ বিষয়ে জামায়াতকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবে বলে জামায়াত নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দিন ৫ আগস্টেই দৃশ্যপটে আসে জামায়াত। সেদিন দুপুরে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন বলে গণমাধ্যমকে জানান সেনাপ্রধান। ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন দলের বৈঠকেও জামায়াতের আমির অংশ নেন। এরপর ৮ আগস্ট বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় জামায়াত। ১২ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতের আমিরসহ প্রতিনিধিদল।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সেদিনের বৈঠকে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কোন বৈধতায় সম্মানিত উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ওই বৈঠকে তাৎক্ষণিক একজন উপদেষ্টা এ বিষয়ে জামায়াতকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবে বলে জামায়াত নেতাদের আশ্বস্ত করা হয়। তবে জামায়াত দাবি করে, শেখ হাসিনার সরকার যেই নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে হঠাৎ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তারাও যেন নির্বাহী আদেশে তা প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়ে আমরা আইনি পথেই এগোব। আশা করি, আদালতে আমরা সুবিচার পাব।’
এসএস/
মন্তব্য করুন