এডুকেশন টাইমস
২২ আগস্ট ২০২৪, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি: ভারতের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২২আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হোন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

এসময় ‘ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার দেশ ডুবলে কেনো, সরকারের কাছে জবাব চাই’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, মোদির দুই গালে জোতা মারো তালে তালে, এমনসব স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের।

এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে আন্তর্জাতিক নদীগুলো আছে তার পানিগুলোর ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। এছাড়াও ইতিপূর্বে ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে ভারতের যে অন্যায্য ও গোপন চুক্তিগুলো হয়েছিল তা দ্রুত বাতিল করতে হবে। এবং বাংলাদেশের সাথে আলোচনা না করে কোনো বাঁধ খুলে দেওয়া যাবে না।

আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, ভারতের সাথে প্রতিবেশি কোনো রাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক নেই। উগ্র, ফ্যাসিস্ট, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সেখানে শাসন করছে। তারা যেভাবে আমাদেরকে শোষণ করেছে তার অন্যতম একটি হলো নদীর পানি শোষণ। আজকে এখানে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে দেশ প্রেমের চেতনায় জেগে উঠেছে। কতটা দূরদর্শী ছিল আবরার। এই ভারত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে ফ্যাসিস্টদের দোসরা মেরে ফেলে। সন্ত্রাসিরা দেশের প্রতিটা জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ক্যান্টনমেন্ট বানিয়ে ফেলেছিল। তারা শিক্ষার্থীদেরকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে দেয়নি। রাজনৈতিক ভাবে ভারত বাংলাদেশের সাথে না পেরে তারা এখন পানি নিয়ে খেলা শুরু করেছে।

প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকিব বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার সরকার তারা একটা অত্যান্ত নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এবং একই সাথে এই রাষ্ট্রকে ভারতের অলিখিত কলোনিতে পরিণত করেছিল। এই কাজটি তারা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা সাথে কোন আধিপত্যবাদ চলে না কোন জাতি কখনো আধিপত্যকে মেনে নেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি। ভারত সরকার কি শেখ হাসিনার বন্ধু হয়ে থাকতে চায় নাকি বাংলাদেশের জনগনের বন্ধু হয়ে থাকতে চায়। যদি শেখ হাসিনার বন্ধু হিসেবে বেছে নেন তাহলে বাংলাদেশর জনতার শত্রুতাকে তাকে বেছে নিতে হবে। এর ফলে ভারত শান্তি পাবে না যার ক্রয় করার আত্মশক্তি আমরা ২০২৪ সালে অর্জন করেছি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় একহাজার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষদেরও আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়।

এসএস/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নাইট শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন একাদশ ব্যাচ

সকল টিভি চ্যানেলে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ 

নিটল মটরস লিমিটেডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এইচএসসি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করছে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন

পুতিনের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি  

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তীব্র প্রতিরোধে শেখ হাসিনার বিদায় ত্বরান্বিত হয়: প্রেস সচিব

সিওয়াইবি জবি শাখার নেতৃত্বে ইস্রাফিল ও লাভলু

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ২য় স্থানে চবি

কুবিতে সিওইউ সাইক্লিস্টের নতুন নেতৃত্বে মামুন- রাকিন

শিক্ষা ও গবেষণায় সৌদি ফাউন্ডেশনের বৃত্তি, দেবে ৬০ লক্ষাধিক টাকা

১০

ক্যান্টিনের খাবারের দাম এবং মান নিয়ে অস্বস্তিতে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা

১১

শাবিতে মাস্টারমাইন্ড ২.০ শীর্ষক ‘ন্যাশনাল কেস কম্পিটিশন’ উদ্বোধন

১২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পাটাতনের নেতৃত্বে মাসুম-সায়েম

১৩

শাবিতে গণহত্যায় অর্জিত স্বাধীনতা শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী

১৪

এডিবি থেকে ৪০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

১৫

বিশ্বের ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

১৬

ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে বিকাশ

১৭

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন পাকিস্তান সরকারের

১৮

গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন: শফিকুল আলম 

১৯

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

২০