এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: দেশে শুধু ফ্যাসিস্ট সরকার নয়, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিস্ট হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানান।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, দেশে শুধু ফ্যাসিস্ট সরকার নয়, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিস্ট হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ছিল, ফ্যাসিস্ট থিওলজি ছিল, ফ্যাসিস্ট কালচার ছিল, ফ্যাসিস্ট ড্রেসআপ ছিল। আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায় ফ্যাসিস্ট বিরাজমান ছিল। আপনাদের আশপাশে বাজার কমিটির সভাপতি, মসজিদ কমিটির এবং নাপিত কমিটির সভাপতি ইত্যাদি সংগঠন তৈরি করে সিন্ডিকেট বানিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিজমের বীজ প্রথিত করেছে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে এতদিন যে রাজনীতি ছিল তা লেজুড়বৃত্তিক। আমরা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। আমরা এমন রাজনীতি চাই যার দ্বারা ছাত্র, সমাজ এবং দেশের মানুষের উপকার হবে। ছাত্ররাজনীতি ছাড়া আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে পারব না।
চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সাথে ইতিপূর্বে যেসব গোপন চুক্তি হয়েছে সেগুলো বাতিল করতে হবে। দেশের সকল মানুষকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে কোন দেশের রক্তচক্ষু দেখে আমরা ভয় না পাই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ঢোকার পাঁয়তারা করছে। এত বড় একটা আন্দোলনের পর এটা মেনে নেওয়া যায় না।আমাদের ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে নতুন কোনো দোসরদের রাজনীতি করার জন্য নয়। আজকে যারা আমাদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তাদেরকে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করব।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ওঁং, হাটহাজারী মাদরাসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ জুনায়েদ। মতবিনিময় সভা শেষে চট্টগ্রামের শহীদ তানভীর সিদ্দিকের বাবাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এসএস/
মন্তব্য করুন