এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিগত সরকারের আমলে ২০০৮ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। নব-নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর কর্তৃক ৪ (চার) বছর মেয়াদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত হওয়ায় সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ-কে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, নব-নিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের প্রজ্ঞা ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি হবে এবং উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
এ সভায় বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকুরীচ্যূত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীতে পুনর্বহালের বিষয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ছাত্র-জনতার দাবীর মুখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামকরণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য প্রফেশনাল বডি/সংস্থাকে দায়িত্ব প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসএস/
মন্তব্য করুন