এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এবার ভর্তি নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। সুযোগ পেতে পারেন মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীরাও।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য তৈরিকৃত নীতিমালা সংস্কার করা হবে। দরিদ্র কোটায় ভর্তি যোগ্যদের মাপকাঠি নির্ধারণ, এইচএসসির মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া, জিপিএ নম্বর কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হতে পারে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে পারে নম্বরের ক্ষেত্রে। ১২০ নম্বরের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বর থাকবে এমসিকিউ-এর উপর। আর অবশিষ্ট ২০ নম্বর থাকবে জিপিএ-এর উপর। তবে এটি একেবারেই অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি —কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ‘ভর্তি নীতিমালায় পরিবর্তন আসবে কি না সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। এইচএসসির ফল প্রকাশের পর আমরা সভায় বসবো। তখন স্টেক হোল্ডারদের সভায় বিষয়গুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দাবি রয়েছে। এ দাবিগুলো বিবেচনা করে আমরা নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার বিষয়ে ভাবছি। তবে এটি একেবারেই প্রাথমিক আলোচনা। স্টেক হোল্ডারদের সভায় বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।’
মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন। বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। আমরা মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগের বিষয়ে ইতিবাচক। আশা করছি মানোন্নয়নের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।’
এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ১.৫ দিয়ে গুণ করা হবে। আর এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএকে ২.৫ দিয়ে গুণ করে জিপিএর নম্বর দেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি কিন্তু একেবারেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়—কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
কবে নাগাদ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সাধারণত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়ে থাকে। সে হিসেবে এবার জানুয়ারি মাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে পারে নম্বরের ক্ষেত্রে। ১২০ নম্বরের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বর থাকবে এমসিকিউ-এর উপর। আর অবশিষ্ট ২০ নম্বর থাকবে জিপিএ-এর উপর। তবে এটি একেবারেই অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএর উপর নম্বর বেশি থাকায় অনেকে ভালো পরীক্ষা দিয়েও ভর্তির সুযোগ পাননা। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা ভর্তি কমিটির সভায় এটি তুলে ধরবো। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেটি ভালো মনে করবে সেটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
জিপিএর নম্বর বন্টন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএকে ১.৫ দিয়ে গুণ করা হবে। আর এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএকে ২.৫ দিয়ে গুণ করে জিপিএর নম্বর দেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি কিন্তু একেবারেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
এসএস/
মন্তব্য করুন