গবি প্রতিনিধি: রাষ্ট্র এবং জাতীয় সমাজ হাত-ধরাধরি করেই চলে। আমাদেরকে এই রাষ্ট্রের জন্য নেতা তৈরী করতে হবে। নেতারা আমাদের নিয়ে যান, আমরা স্বেচ্ছায় তার পেছনে যাই। আর পেছন থেকে তাড়িয়ে নিলে বিষয় টা হয় ‘ফ্যাসিবাদ’। পরিবর্তন হয়েছে শুধু সরকার, দরকার সামগ্রিক পরিবর্তন, বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা এগারোটায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মিলনায়তনে, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট ক্লাবের (জিবিসিডিসি) আয়োজনে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে মানুষকে ‘ড্রাইভ’ করা হয় ‘লিড’ করা হয় না। একটা শিক্ষার্থীর জীবনকে ধ্বংস করার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই নৈরাজ্য শেষ করতে হবে। পরিবর্তন এখান থেকে শুরু করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয় চাই। ইন্সটিটিউশনের থেকে কন্সটিটিউশন জরুরী। শুধু গণ বিশ্ববিদ্যালয় না পুরো দেশকেই সমাজমুখী বিদ্যার দিকে ধাবিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের আরেক আলোচক জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছিলেন জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগনেরই বিশ্ববিদ্যালয়। এই চিন্তাধারার রেখে উনি ফ্যাসিস্টরেজিমের কাছে বার বার হেনস্তার শিকার হয়েছে এমনকি এই প্রতিষ্ঠানে হামলাও হয়েছে। এই ইতিহাস মনে রাখতে হবে।
এছাড়া তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাকে ভয় পায় ঠিক আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের মতই। যখন রাষ্ট্রের আমুল পরিবর্তন দরকার হয় তখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় এই আমুল পরিবর্তনে কাজ করে। তখন প্রতিষ্ঠান হয় গণমুখী। আবার এই প্রতিষ্ঠানই ফ্যাসিবাদের মূল হাতিয়ার হতে পারে। পদ পাওয়ার জন্য যতভাবে চুপ থাকা যায় সেটা তারা করেছেন। এমনকি ভিসি নিয়োগ হয়েছে তদবিরের মাধ্যমে।
বক্তাদের আলোচনায় আলোকপাত করে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কতটুকু কেনো হয়েছে আর কেনো হয়নাই তা জেনেছি। জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময়ই বৈষম্য মুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখেছেন। আমাদের লক্ষ্য একই।
উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জিবিসিডিসি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিব মীর। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতিমা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লাবটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিম।
এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান-শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এসএস/
মন্তব্য করুন