মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের আয়োজনে বাংলাদেশ জীবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে চাকুরীতে বৈষম্য নিরসন ও সংশ্লিষ্ট জাতীয় প্রতিষ্ঠান সমূহে বায়োটেক গ্রাজুয়েট নিয়োগের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন,
আমরা জানি বাংলাদেশ থেকে অনেক বায়োটেক গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। তাদের কর্মপরিধি প্রসারিত হচ্ছে না। একইসাথে পলিসি মেকিং এ বায়োটেক গ্র্যাজুয়েট না থাকার কারণে তাদের কর্মপরিধি যেমন প্রসারিত হচ্ছে না তেমনি বিভিন্ন জায়গায় বায়োটেক গ্র্যাজুয়েটদের সুবিধা বা তাদের কর্মক্ষেত্র থাকার পরও তারা নিয়োগ পাচ্ছে না। এই বিষয়টা আমরা জাতির কাছে উপস্থাপন করছি যেন তাদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্যতা না থাকে। ছাত্র জনতার বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি আমরা এই বৈষম্য দূর করতে চাই। ধন্যবাদ
প্রফেসর ড. মো. মাসুদার রহমান বলেন, ত্রিশ বছর অতিক্রম করার পরও বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না দেশে। বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটদের যদি যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় তাহলে তারা ইকোনমিতে এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্টে অনেক অবদান রাখতে পারে। আমরা চাই বায়োটেকনোলজি যে বৈষম্য ও পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার হয়েছিল, সেখান থেকে বের হয়ে বায়োটেকনোলজিতে তাদের যোগ্যতা অনুসারে বিভিন্ন নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জব সেক্টরে তাদের সুবিধা দেয়া হোক এবং এটা অনতিবিলম্বে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাইনুদ্দিন হোসেন বলেন,
বর্তমানে বায়োটেক ফিল্ড পুরো পৃথিবীতে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন থেকে শুরু প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ভালো একটা পজিশনে আছে৷ কিন্তু বাংলাদেশে বায়োটেক গ্রাজুয়েটরা সেই মূল্যায়নটা পাচ্ছেনা৷ বায়োটেক একটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাব্জেক্ট৷ তা স্বত্ত্বেও বায়োটেক গ্রাজুয়েটদের তাদের প্রাপ্ত অধিকার দেয়া হচ্ছেনা৷ বায়োটেক সংশ্লিষ্ট জাতীয় প্রতিষ্ঠানে বায়োটেক গ্রাজুয়েটরা সবসময়ই বৈষ্যমের স্বীকার হয়ে আসতেছে৷ বায়োটেক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পরেও কোথাও বায়োটেক গ্রাজুয়েটদের কোনো নীতিনির্ধারণী পদে রাখা হয়নি৷ যা বায়োটেকদের সাথে পুরোপুরি বৈষম্য৷ আমাদের দাবী হচ্ছে, এই বৈষম্যহীন দেশে বাংলাদেশ জীবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে চাকুরীতে বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণী পদে বায়োটেক গ্রাজুয়েটদের প্রাধান্য দিতে হবে৷
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যয় আহমেদ মাসুম বলেন,
একুশ শতকের চেলেন্জ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজি এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে লাইফ সাইন্স এর উপর বায়োটেকনোলজিস্টরা প্রচুর গবেষণা করে যাচ্ছে। তার ফলে উন্নত বিশ্বে লাইফ সাইন্স এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে বিশেষ করে কৃষি ও স্বাস্থ্য ক্ষেএে।বাংলাদেশে আজ থাকে প্রায় ৩০ বছর আগে এই সাবজেক্ট টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।ধীরে ধীরে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনেক বায়োটেকনোলজিস্ট তৈরি হয়েছে কিন্তুু তারা এখনো কর্মসংস্থানের ক্ষেএে বৈষম্য এর শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নেশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (BRRI,IRRI) সহ বাংলাদেশ এর যেসকল লাইফ সাইন্স বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রয়েছে, যেখানে বায়োটেকনোলজিস্ট নিয়োগে অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। তাই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা আছে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যেন অবিলম্বে এই বৈষম্য বন্ধ করা হয়,বায়োটেকনোলজিস্ট দের যথাযথ কর্মসংস্থান ও গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এএকে/
মন্তব্য করুন