বিএমইউ প্রতিনিধি:
চুয়াল্লিশ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ অর্গানাইজিং কমিটি প্রকাশ করেছে মেরিটাই হাল্ট প্রাইজ। পূর্ণাঙ্গ কমিটির ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মোঃ তানভীর হাসান এবং ডেপুটি ক্যাম্পাস ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন যথাক্রমে- তৌফিকুল ইসলাম আশিক, খাদিজা খাতুন জিতু, এস. এম. আবু নাহিয়ান মিয়া, উম্মে হাবিবা শ্রাবন্তী এবং খুরশিদুল আলম শান্ত।
এবারের প্রোগ্রামকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে মোট ৯টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়েছে অর্গানাইজিং কমিটিকে। টিমগুলোর মধ্যে ফাইন্যান্স এন্ড স্পন্সর ম্যানেজমেন্টের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করবেন রেজওয়ান রাসুল, কমিউনিকেশন টিমের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে আছেন মোঃ হামিদ মালিক। এছাড়াও মার্কেটিং এন্ড প্রমোশন টিম, কনটেন্ট রাইটিং টিম, ইভেন্ট এন্ড লজিস্টিকস ম্যানেজমেন্ট টিম, মিডিয়া অ্যাফেয়ারস এন্ড পাবলিকেশন টিম, এনগেজমেন্ট এন্ড এক্সপার্ট লিয়াজন টিম, ফটোগ্রাফি এন্ড ভিডিওগ্রাফি টিম এবং স্টার্টাপ টিমের কো-অর্ডিনেটর দায়িত্ব পালন করবেন যথাক্রমে – আরিফ মোর্শেদ অভি, আল মমিনুল মিয়া, সানজিম সাজিদ জিম,আমির গালীব বাকী,সৈয়দা রাকিবা ইসলাম,তাসফিয়া তাহুরা তাকি এবং আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের। উক্ত ৯ জন কো-অর্ডিনেটরের তত্বাবধান আরো কাজ করবেন জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর, ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর, জয়েন্ট ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর এবং এক্সিকিউটিভ সদস্যরা।
‘হাল্ট প্রাইজ’কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে যার আয়োজক জাতিসংঘ ও বিল ক্লিনটন ফাউন্ডেশন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট এই প্রতিযোগিতার নাম দিয়েছে ‘শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার’। প্রতিবছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আহ্বানে বহু শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই প্রতিযোগিতার সুবাদে। সমস্যার সমাধান ও সেই সমাধান থেকে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করার জন্য পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী দলকে দেওয়া হয় ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দল হাল্ট প্রাইজে অংশ নিচ্ছে। হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিও বিগত বেশ করেক বছর ধরে হাল্ট প্রাইজের আয়োজন করে চলেছে।
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি হাল্ট প্রাইজের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাম্পাস ডিরেক্টর তানভীর হাসানের সাথে এক সাক্ষাৎকারের তিনি জানান- ”এটি একটি বড় দায়িত্ব, পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও আমার জন্য। আমি এবং আমার সকল প্যানেল মেম্বার আমাদের সবটা দিয়ে চেষ্টা করবো যেন পোগ্রামটি যথাসম্ভব স্বচ্ছতার সাথে শেষ করতে পারি। হাল্টের সাথে আমার পথ চলা বেশ করেক বছর ধরেই। আমি আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে জানি কোন কোন জায়গা গুলোতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ইফোর্ট দিতে হবে। এবারের হাল্টের সম্পূর্ণ কমিটি যদি আমার মতাদর্শে একমত থাকে,আমি আশাবাদী আমি শিক্ষার্থীদের একটি জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিযোগিতার প্লাটফর্ম উপহার দিতে পারবো। ”
এছাড়া মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এবারের অন ক্যামপাস রাউন্ড নিয়ে বেশ আশাবাদী। তারাও আশা করছে এবারের পোগ্রমের রেশ ছাড়িয়ে যাবে পূর্বের সকল অন ক্যাম্পাস রাউন্ডের চেয়ে।
এএকে/
মন্তব্য করুন