খুবি প্রতিনিধি:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে প্রশাসনের অবহেলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণে আয়োজিত এই মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, জমির সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আজাদ মিয়া জানান, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এটি মাত্র ১০৬ একর এলাকায় সীমাবদ্ধ। ফলে একাডেমিক ভবন, গবেষণাগার, এবং খেলার মাঠের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ফরেস্ট্রি এবং মৎস্য বিভাগের গবেষণা কার্যক্রমে যথেষ্ট সংকট দেখা দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলছে।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাদের দাবি উপেক্ষিত হয়েছে। আজাদ মিয়া বলেন, “আমরা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেছি। এবার আমরা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। যদি আবহাওয়া ও মৎস্য অধিদপ্তরের জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।”
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ৩৩ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে অগ্রগামী অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও মাত্র ১০৬ একরে সীমাবদ্ধ, যেখানে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২০০-৫০০ একর এলাকায় বিস্তৃত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসনের অবহেলা এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণেই এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনে নামবেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চাই, যাতে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়।”
এই মানববন্ধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার তুলে ধরেছে।
এএকে/
মন্তব্য করুন