পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ইংরেজী বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্মানহানী করে একটা পোস্ট করায় তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন।
সোস্যাল মিডিয়া পোস্টে, “তিন গাধার পিঠের উপর চলছে ইংরেজী বিভাগ”। বেনামে করা এই পোস্টে আরও লেখা হয় বড় আপা: নিজের স্বার্থে বিভাগকে “হারুনের ভাতের হোটেল” বানিয়েছেন, যেখানে পরীক্ষার সময় দায়িত্বে অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের নকলের সুযোগ দেওয়া হয়। মেজ ভাই: নারীবাদীর মুখোশ পরে ছাত্রীদের প্রতি অনৈতিক আচরণে লিপ্ত, বিশেষত রাতে গোপন মিটিং আয়োজন করেন। ছোট ভাই: তাদের ষড়যন্ত্র ও প্রভাবের শিকার হয়ে নিজের অবস্থান হারিয়ে ফ্যাসিস্ট মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে উল্লেখ করা হয়।
এই পোস্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয় ক্যাম্পাসে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা । এ সময় তারা জানান এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। শিক্ষদের ছোট করার জন্য মুখোশধারী ষড়যন্ত্রকারী কেউ এই পোস্ট করেছেন। শিক্ষকদের ভূল থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করা উচিত, কিন্তু এভাবে ছোট করে পোস্ট দেওয়াটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসময় শিক্ষার্থীরা পোস্টদাতার পরিচয় প্রকাশ ও বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রসাশনের নিকট দাবি জানান।
দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসরাফুল পারভেজ জানান, আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত মূলক পোস্ট করা হয়েছে এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অপমান মূলক মন্তব্য করা হয়েছে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ সরকার ঠিকে থাকতে পারে নাই। সেখানে পাবিপ্রবি তে ষড়যন্ত্র কারীকে আমরা ঠিকে থাকতে দিব না। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই আপনারা যদি সুস্পষ্ট ভূমিকা না নেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেগে উঠবে। যারা ইন্দুন দিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা চাই এবং কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক যে মুখোশধারী শয়তান গুলো বিভাগে অবস্থা করছে। আশা করছি এই দুষ্কৃতিকারীরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন।
১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুস্মিতা বিশ্বাস বলেন, দুষ্কৃতিকারী তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের শিক্ষকদের নামে যাতা বলতেছে। যেটা আমাদের ইংরেজি বিভাগের জন্য লজ্জাজনক।শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন । আমরা কখনো চাই না, আমাদের শিক্ষকের সম্মানহানি হোক। শিক্ষকের সম্মানহানি হওয়া মানে পুরো জাতির সম্মানহানি হওয়া। এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় শিক্ষার্থীরা পোস্টদাতার পরিচয় প্রকাশ ও বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালকের নিকট আবেদন জানান এবং ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান জানান, আমরা নিজেরাও শিক্ষক। তোমরা যে এরকম একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছ সেজন্য আমরা তোমাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। যতদ্রুত সম্ভব আমরা পদক্ষেপ নিবো।
এসএস/
মন্তব্য করুন