জাককানইবি প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় মসজিদের কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই বিভিন্ন জায়গায় খসে পড়েছে টাইলস। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে মসজিদের কাজের গুণগত মান নিয়ে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া ২ হাজার ২৫২ বর্গমিটার ফ্লোরের আয়তন বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণের সময় ১ বছর ধরা হলেও তা সময়ের সাথে ধাপে ধাপে ব্যয় বেড়ে হয় ৯ কোটি ২লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬ টাকা। এরপর ৪ বছর শেষ হতে চললেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৩ লা বিশিষ্ট মসজিদের নিচ তলার বেশ কয়কটি পিলারে ইতিমধ্যে খসে পড়েছে টাইলস এবং বাকি পিলার গুলোতেও টাইলস খসে পড়বার সম্ভাবনা রয়েছে।
মসজিদ নির্মাণাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহারিয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে মসজিদের বাকী পিলার গুলো নিয়ে পরীক্ষা চালানো হলে দেখা যায় সেখানে মসজিদের রাউন্ড বিশিষ্ট মোট ৮ টি পিলারের মধ্যে ৭ টি পিলারের মধ্যে একই ধরনের সমস্যা বিরাজমান।
এসময় কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার হোসেন বলেন, মসজিদের কাজটি সম্পন্নকরনের জন্য চাপ দেওয়ার কারণে আমাদেরকে তারাহুড়ো করে নিচ তলার কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। এতে টাইলসের ভেতরের গ্যাসের চাপ সৃষ্টি হওয়ার ফলে এমনটি ঘটেছে।
এ সময় তাকে ২য় তলায় কাজের চাপ না থাকার পরেও কেন এমনটি হলো জানতে চাওয়া হলে শাহারিয়ার বলেন, এখানে আমাদের একটু ভুলত্রুটি হয়েছে। ঐ সময়ে টাইলস মিস্ত্রি বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং মিস্ত্রি একবার চলে যাবার পর আবার নিয়ে আসতে হলে বেশি টাকা খরচ হবে তাই একই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে গিয়ে সেখানে ও টাইলস লাগানোর পর পুটিং দিবার যতটুকু সময়ের বিরতি প্রয়োজন তা রাখা হয়নি ফলে এমনটি ঘটেছে।
মসজিদের কাজের গুণগত মান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ জোবায়ের হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এবং ইতিমধ্যেই আমাদের পক্ষ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। যদি তারা মসজিদের কাজ নিয়ে কোন গাফিলতি করে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের যে জামানত রয়েছে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন