এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
আরও অন্তত তিন থেকে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যেতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ফলে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থাকছে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যরা।
সূত্র জানায়, গুচ্ছের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র একটিতে আগের সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য রয়েছেন। বাকি সবাই নতুন হওয়ায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে খুব বেশি ধারণা নেই। এরই মধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও গুচ্ছের বিষয়ে এখনও কোনও সভায় বসেনি কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েকজন উপাচার্য ছাড়াও ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা প্রায় সবাই গুচ্ছের বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী ভর্তি কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গুচ্ছে ভাঙনের শঙ্কা জোরালো হয়েছে। একজন উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অন্তত তিন-চারটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘আমাদের অধিকাংশ উপাচার্য নতুন। ফলে গুচ্ছ নিয়ে তেমন ধারণা নেই সবার। এতে কিছুটা জটিলতা আছে। তবে বিষয়গুলো নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা চলছে।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যেতে নীতিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। গত ১০ নভেম্বর তিনি এসব কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, ‘গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে আমরা নীতিগতভাবে একমত। গুচ্ছ ভর্তি সিস্টেম লম্বা প্রসেস। ফলে সময়মতো ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে সেশনজট সমস্যার তৈরি হচ্ছে।’
৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছ
কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত প্রার্থীদের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন পরিষদও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। ফলে কৃষি গুচ্ছ থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহবায়ক অধ্যাপক মো. গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, তারা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা চালু করবেন। শিক্ষাবিষয়ক পরিষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন