এডুকেশন টাইমস
২২ নভেম্বর ২০২৪, ৪:০৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

ইবি প্রতিনিধি: ৪৫ পেরিয়ে ৪৬ বছরে পা রাখতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পম্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মিলনস্থল শান্তিডাঙ্গা দুলালপুরে যাত্রা শুরু হয় স্বাধীনতাত্তোর দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের। ১৭৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সবুজ-শ্যামল প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। গবেষণা ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা প্রতিকূলতা ও বাধা পেরিয়ে জাতীয় ও বিশ্বাঙ্গনে সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, প্রতিষ্ঠানটি এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ ও সংকটে জর্জরিত।

প্রতিষ্ঠাকালীন ইতিহাস-

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার, ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য এবং আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে একটি ইসলামিক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারিভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শুরুটা মোটেও ভাল কাটেনি। ১৯৭৯ সালে যাত্রা শুরু করলেও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া থেকে গাজীপুর বোর্ড বাজারে স্থানান্তর হয়। ১৯৯০ সালে ফের কুষ্টিয়া স্থানান্তরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।

১৯৯২ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার প্যারামেডিকেল ভবনে অস্থায়ী কার্যক্রম চলে। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মাটির সড়ক আর সবুজ গাছপালার মাঝে গড়ে উঠে দুটি ভবন। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি খুজে পায় স্থায়ী ঠিকানা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া-ঝিনািদহ সংযোগস্থলে স্থায়ী ঠিকানা।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান-
প্রতিষ্ঠাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি অনুষদের অধীনে ৪টি বিভাগে ৮ জন শিক্ষক ও ৩০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ মীর মোশাররফ হোসেন, বাউল সম্রাট লালন সাঁইজি, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথের স্মৃতি বিজড়িত সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে ১৭৫ একরের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে ১৪ হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী , যাদের মধ্যে ছাত্র ৯২২৬ এবং ছাত্রী ৫৪৫২ জন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬০০ (প্রায়)। বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ জন। বর্তমানে ৪০৬ জন শিক্ষক শিক্ষাদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ৪৮৮ জন কর্মকর্তা, ১০২ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৪৯ জন সাধারণ কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিবিদ্যালয়ে একটি ইন্সটিটিউট ও একটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে।

অনুষদ ও বিভাগ সমূহ-

ধর্মতত্ব অনুষদ-
আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ,আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

কলা অনুষদ –
আরবী ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা, ইংরেজি, চারুকলা এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
অর্থনীতি, লোক প্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ফোকলোর স্টাডিজ , সমাজকল্যাণ বিভাগ ও কমিউনিকেশন আ্যন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগ

আইন অনুষদ-
আইন বিভাগ, আল-ফিকহ আ্যন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ, ‘ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ।

ব্যবসায় অনুষদ-
হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ।

বিজ্ঞান অনুষদ –
গণিত বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ,জিওগ্রাফি আ্যন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ ও শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ।

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ,কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইলেকট্রনিক্যাল আ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ,ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ ও বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ।

জীববিজ্ঞান অনুষদ-

ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ,বায়োটেকনোলজি আ্যন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ফর্মেসী বিভাগ।

সমাবর্তন-

৪৫ বছরে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৬ বছর পর দ্বিতীয় সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর এবং ১ বছর পর ২৮ মার্চ ২০০২ তৃতীয় এবং চতুর্থ ও সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ৭ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার-
বর্তমানে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বই রয়েছে এক লক্ষ ২৬ হাজার ৭২টি। এছাড়াও জার্নাল, ম্যাগাজিন এবং নিউজ পেপার এর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪ শত (প্রায়)। রিমোট এক্সেস এর মাধ্যমে অনলাইনে সাবস্ক্রাইবড ই-বুক এবং ই-জার্নাল পড়ার সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গবেষণা ও আবিষ্কার

শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিনিময়ের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।সম্প্রতি চীনের সাউথইস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে। এছাড়াও গত ২৪ অক্টোবর বিআইআইটি অডিটোরিয়ামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক থট (আইআইআইটি)-এর সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত ৬২৪ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৭৮৮ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ১৬৪ জন পিএইচ.ডি এবং ৪৭ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

ক্রিড়াক্ষেত্রে সাফল্য-

শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। এ্যাথলেটিক্স-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাত বার এবং ছাত্রীরা আট বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ফুটবলে তিন বার, হ্যান্ডবলে (ছাত্র) তিন বার, ভলিবল (ছাত্র)-এ ১৩ বার এবং বাস্কেটবলে চার বার চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২০২৪ সালে এবং ছাত্রীরা ২০২৭ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুসা হাসেমী ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেওয়া গৌরব অর্জন করেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী তামান্না আক্তার সাত বার জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার হাডেলস ইভেন্টে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

পরিবহন সেবা

পরিবহন সেবা দেওয়ার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নিজস্ব গাড়ি রয়েছে ৪৬টি। এর মধ্যে ৫২ আসনের নন এসি বাস ১৩টি, দ্বিতল বাস ১টি, এসি বাস ১টি, ৩০ আসনের এসি কোস্টার ৭টি, নন-এসি মিনিবাস ৫টি, হায়েস এসি মাইক্রো ৫টি, জীপ ৭টি, কার ৩টি, পিক-আপ ২টি এবং অ্যাম্বুলেন্স ২টি। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ভাড়াকৃত ৯টি দ্বিতল বাসসহ মোট ৩২টি বাস-মিনিবাস রয়েছে।

আবাসিক হল –

বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি আবাসিক হল রয়েছে। এসব হলে ৩ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা আছে। সাদ্দাম হোসেন হলে ৪৭৫, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ৪০০, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৩৬৪, লালন শাহ হলে ৩৮৮, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৩৯৮, বেগম ফজিলাতুননেসা মুজিব হলে ৪৮০ জন ও শেখ হাসিনা হলে ২৭০ জন শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৯৪৬ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৬৪৮ জন ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা আছে। আর বাকি ৭৬ শতাংশের জন্য নেই কোনো আবাসানের ব্যবস্থা।

সংকট-

এদিকে নানা অর্জনের পাশাপাশি বেশকিছু সংকটও রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের গৌরবময় অবস্থানে রাখতে হলে চলমান সমস্যা ও সংকটগুলোর সমাধান করতে হবে
গবেষণা, চিকিৎসা ও আইটি খাতে অপর্যাপ্ত বাজেট, শ্রেণীকক্ষ সংকট, সেশনজট, আবাসন সমস্যা, পরিবহন সংকট, মানসম্মত খাবার ও সুপেয় পানির অভাব, গণরুম কালচারসহ র‍্যাগিংয়ে জন্য কিছুদিন পর গণমাধ্যমের শিরোনাম নানা সমস্যায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে আটটি আবাসিক হল রয়েছে। তবে তা শিক্ষার্থী তুলনায় যথেষ্ট না। ফলে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করতে হয়।

ইবি প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে সৎ, দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।

দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যাপীঠ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক বিভাগে রয়েছে ভয়াবহ সেশনজট। আর এ সেজনজট শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়াবহ অভিশাপস্বরুপ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের কাছে এ অনুষ্ঠান অত্যন্ত আবেগের ও মর্যাদার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪৫ বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে মাত্র ৪টি।

বিশ্বায়নের যুগে ইবি এখনও অ্যানালগ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান করছে। এতে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। গত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে “স্টুডেন্টস ই-পেমেন্ট” কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও এখনো শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারছে না।

প্রত্যাশা-

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর আওতায় নয়টি দশ তলা ভবনের সবগুলোর নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রী হল, একটি একাডেমিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি, কর্মচারীদের জন্য একটি, নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের দ্বিতীয় ব্লক এবং নতুন প্রশাসন ভবন। কাজ শেষ হলে আবাসন ও শ্রেণিকক্ষ সংকট কমে আসবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, ‘গণঅভ্যূত্থানের পরিবর্তিত বাংলাদেশে ইবিতে চলমান সংকটগুলোর সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনোযোগী হবেন। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি, চলমান সমস্যা ও সংকটসমূহ নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সমৃদ্ধি পথে এগিয়ে যাবে।’

এসএস/

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিওয়াইবি জবি শাখার নেতৃত্বে ইস্রাফিল ও লাভলু

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ২য় স্থানে চবি

কুবিতে সিওইউ সাইক্লিস্টের নতুন নেতৃত্বে মামুন- রাকিন

শিক্ষা ও গবেষণায় সৌদি ফাউন্ডেশনের বৃত্তি, দেবে ৬০ লক্ষাধিক টাকা

ক্যান্টিনের খাবারের দাম এবং মান নিয়ে অস্বস্তিতে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা

শাবিতে মাস্টারমাইন্ড ২.০ শীর্ষক ‘ন্যাশনাল কেস কম্পিটিশন’ উদ্বোধন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পাটাতনের নেতৃত্বে মাসুম-সায়েম

শাবিতে গণহত্যায় অর্জিত স্বাধীনতা শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী

এডিবি থেকে ৪০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

বিশ্বের ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

১০

ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে বিকাশ

১১

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন পাকিস্তান সরকারের

১২

গণ-অভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন: শফিকুল আলম 

১৩

৪৬ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও সংকট

১৪

বাকৃবির ফজলুল হক হলে তিন দিনের ফিস্টে উৎসবের আমেজ

১৫

জুরাইনে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ 

১৬

জানা গেলো পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল ট্রেন চলাচলের তারিখ

১৭

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২৫০০০—৩০০০০ বেতনে চাকরি আরএফএল গ্রুপে, দেবে ভ্রমণ ভাতাসহ নানান সুবিধাও

১৮

নিয়োগ দিচ্ছে বিএসআরএম গ্রুপ

১৯

যে কারণে ভারতে করিমগঞ্জের নাম বদলে শ্রী-ভূমি রাখা হলো

২০