কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) এবং হলসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে কাজী নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন এবং শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক মো. আল-আমিন প্রশাসনের হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছেন।
বুধবার (১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় নাসির হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে চলমান সংকট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীদের সংকটের মুখেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার মনে হয় না, এমন কিছু ঘটেছে। আর কাজী নজরুল হলে কোনো রকম অবৈধ অস্ত্র বা টাকা ঢুকেনি। আমার হল খোলা থাকবে। আমার হলের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক আল-আমিন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমার হলে কোনো প্রকার অবৈধ অস্ত্র নেই। আমার হল স্বাভাবিক আছে। আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা তাদের মতো করে হলে থাকতে পারবে। শিক্ষার্থীদের কেউ জোরপূর্বক হল থেকে বের করতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল বেলা একটার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মারামারি ও উপাচার্যের সাথে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ২৮ তারিখ রাতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য, ট্রেজারারসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অন্যদিকে ২৯ তারিখ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পালটা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর শিক্ষক সমিতির অনির্দিষ্টকালের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের প্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসআই/
মন্তব্য করুন