শাবিপ্রবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ মে) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ২২৩ নম্বর কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা শুভ ও সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারীদের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় সারা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ২২৩ নং রুমে ৪ জন বৈধ শিক্ষার্থী থাকে। তারা সকলেই শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা শুভর অনুসারী। তবে তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় হওয়ায় এদেরকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন নাজমুল হুদা শুভ। এর জেরে গতকাল রাতে নাজমুল হুদা শুভর অনুসারীরা ওই কক্ষে গেলে বাধা দেয় সজিবুর রহমানের অনুসারীরা। এ সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নাজমুল হুদা শুভ বলেন, এটা আমাদের নিজেদের বিষয়। ওই রুমের সকলেই আমার অনুসারী। তারা রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে বলেছি। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারীরার বাধা দেয়। আমার অনুসারীদের উপর হামলা করে। তারা কক্ষে অবস্থান করা আমার অনুসারীদের প্রভাবিত করে কক্ষ দখলে নিতে চায়।
নাজমুল হুদা শুভর অনুসারীদের উপর হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই কক্ষটিতে শুভর অনুসারীরাই থাকে। এটা তাদের নিজেদের বিষয়। আমি খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক হিসেবে সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করি। তাদের উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর বলেন, ২২৩ নং কক্ষে বৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে নামিয়ে দিতে আগেই তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এজন্য এই রুমের শিক্ষার্থীরা প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল রাতে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার জেরে ঝামেলা তৈরি হলে হল প্রভোস্ট ও আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট স্থপতি কৌশিক সাহা বলেন, গতকাল রাতে গোলযোগ দেখে প্রভোস্ট বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করব। প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন। ওই রুমের সকলেই বৈধ শিক্ষার্থী। তারা এখন রুমে অবস্থান করছে।
এসআই/
মন্তব্য করুন