বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ রেহানা হলের সিট বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের নিজের বাসায় কাজ করিয়ে সুবিধা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করানো, সিন্ডিকেট করে সিট দেওয়া, জোর করে সিট থেকে নামানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রেহেনা হলের কর্মচারী লাভলীর বিরুদ্ধে।
একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লাভলীর প্রভাবেই হলে সিট দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য যাচাইয়ে প্রমাণ মিলেছে। হল প্রভোস্টের কাছে লাভলীর বিরুদ্ধে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি প্রক্টর বরাবর মৌখিক ও লিখিতভাবে হল কর্মীদের খারাপ ব্যবহারের কথা জানানোর পরেও বিচার মেলেনি।
জানা যায়, রাজনৈতিকভাবে পারিবারিক সক্ষমতার বিষয়টি বারবার সামনে আসা কর্মচারী লাভলী অপারেশন হওয়া অসুস্থ শিক্ষার্থীর মাকে অপমান করা, বিভাগের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর মেধা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাসহ শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব অভিযোগের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ ক্ষমতা ও অনুকম্পায় বহাল তবিয়তে রাজ্য গড়েছেন এই কর্মচারী। বাসায় কাজ করিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও জানিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্মচারী লাভলী সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং প্রভোস্টের সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট শামসুন্নাহার পপি বলেন, আমি হলে ২৪ ঘণ্টা থাকি না, হলের স্টাফরাই সব কাজ করে। হলের সিট বাণিজ্য ও হলের কর্মচারী লাভলি বেগমের খারাপ ব্যবহার ও তার বাসায় নিয়ে শিক্ষার্থীর কাজের বিনিময়ে সিট দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তোমরা প্রমাণ দাও আমি ব্যবস্থা নিবো, যদি কোনো শিক্ষার্থীর আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ থাকে তাহলে তারা অভিযোগ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে একশো মেয়ে সিট নেওয়ার জন্য আসে একশো মেয়েই কান্না কারে; একশো মেয়েকে সিট কিভাবে দিবো? মেয়েরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েরা মিথ্যা কথা বলে।
এসআই/ আরএন
মন্তব্য করুন