রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ।
বুধবার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্র গণমঞ্চের নেতাকর্মীরা এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাসহ তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অছাত্র গালিব জাল সনদে জুলাই ২০২১ সেশনে সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির আবেদন করে এবং ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তা বাতিল করা হয়। অর্থাৎ জালিয়াতি সনাক্ত করতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ সময় নিয়েছে প্রায় ২ বছর ২ মাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ের এই দীর্ঘসূত্রিতা স্বাভাবিক ভাবে নেয়ার অবকাশ নেই।’
বিবৃতি বলা হয়, সাংবাদিকতা বিভাগ গালিবের ভর্তি বাতিলের বিষয়টি জনসম্মুখে স্পষ্ট করেছে আরো ৯ মাস পর। যার মাঝে উক্ত অছাত্র ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় এবং নিপীড়ক সংগঠনটির যাবতীয় অপকর্মে নেতৃত্ব দিতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়নের বদলে ছাত্রলীগ নামক নিপীড়ক সংগঠনের অপকর্মে পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কর্তাব্যক্তিরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন না দিয়ে, অছাত্র দিয়ে হলগুলো দখল করিয়ে এবং অছাত্রদের দিয়ে কমিটি দেয়া ছাত্রলীগকে সংগঠন করার সুযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট তৈরি করে রেখেছে। এতে প্রকান্তরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’
বিবৃতিতে সংগঠের নেতারা আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ড্রপ আউট গালিবের দীর্ঘ ৬ বছর যাবত ছাত্রত্ব না থাকলেও সে অবলীলায় মাদর বখ্শ হলের ২১৫ নাম্বার কক্ষ (চার আসন বিশিষ্ট) এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের ২২৮ নাম্বার কক্ষ (চার আসন বিশিষ্ট) একাই দখল করে আছেন। অবৈধভাবে হলে অবস্থানরত গালিব হলে দখলদারিত্ব, শিক্ষার্থীদের মারধর, ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজিসহ বহুবিধ অপরাধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন সমূহ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি”।
বিবৃতিতে ঘোষিত দাবিসমূহ হল, অছাত্র ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ সম্পাদককে হল থেকে অপসারণ করতে হবে, বহিরাগত ও অছাত্র মুক্ত হল নিশ্চিত করতে হবে, অবৈধভাবে হলে অবস্থান ও ভর্তি জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসআই/
মন্তব্য করুন