সাগর শুভ্র, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করছে।
তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও বাঙালির চিরাচরিত মুসলিম সংস্কৃতির উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে দেশের প্রায় ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। একইসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু ক্যাম্পাসে গণ-ইফতার কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ক্যাম্পাসগুলোর সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মানববন্ধন ও গণ-ইফতার কর্মসূচী পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।
এছাড়াও গণ-ইফতার কর্মসূচি আয়োজন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।
গত ১০ মার্চ শাবিপ্রবি ও ১১ মার্চ নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়। পরবর্তীতে তীব্র সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ, এই বিজ্ঞপ্তির প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসআই/
মন্তব্য করুন