নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণ-ইফতারের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রমজানের ১ম দিনেই নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করবে।
বিষয়টি মাহমুদুল হাসান আরিফ নামের এক নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী তার ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। তিনি তার ফেইসবুক পোষ্টের মাধ্যমে জানান ১২ মার্চের ইফতার হবে নোবিপ্রবির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল।
আব্দুল্লাহ আল মুকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সেহেরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতির উপর হস্তক্ষেপ কখনও কাম্য নয়। আমরা আশাকরি প্রশাসন খুব শিগ্রই তাদের ভুল বুঝতে পারবে।
নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশনা প্রসঙ্গে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলম বলেন, যাতে করে পবিত্র মাহে রমজানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশে যেন এ রমজান অতিবাহিত হয়— সরকার আসলে সেটিই চাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইফতার পার্টির নামে কেউ যেন উশৃঙ্খলতা-অরাজকতা করতে না পারে, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনেকের অনেক রকম উদ্দেশ্য থাকে, তারা এসব অনুষ্ঠানের সুযোগ নিতে পারে।’
নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নজরদারি রয়েছে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা সুষ্ঠু পরিবেশে রোজা রাখবে, নামাজ পড়বে, ইফতার করবে— তাদের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। এ বিষয়ে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্টো সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে।
বড় পরিসরে ইফতার আয়োজনের বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, এ ধরনের বড় ধরনের কোনো প্রোগ্রাম করলে অবশ্যই আমাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদন সাপেক্ষে অনুষ্ঠান করা যাবে। আর আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আগে দেখতে হবে, কী ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এটা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসআই/
মন্তব্য করুন