এডুকেশন টাইমস: নোয়াখালীতে পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা দায়ের করে প্রভাবশালীদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এক শিক্ষক দম্পতি।
রোববার (২৪ জুন) এলাকায় যেতে না পারার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মামলার বাদি হাতিয়ার ম্যাকপার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী নলুয়া রেহান আলী চৌধুরীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি হ্যাক করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব করেন আসামিরা। এ বিষয়ে গত ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে নোয়াখালীর সুধারাম (সদর) থানায় পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা দায়ের করি।
মামলার আসামিরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আবদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানবীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব (সাময়িক বরখাস্ত) এবং হাতিয়া উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুকিব হাসান বলেন, মামলা রুজুর পর প্রধান আসামি মো. আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এখনও কারাগারে আছেন। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। তাদের চারজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
শিক্ষক মামুন অর রশিদ দাবি করে বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় তারা আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এরমধ্যে হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ বার বার ফোন দিচ্ছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা জেলা শহরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জাহাজমারা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম বিল্লাহ বলেন, মামলার বাদি ও বিবাদিরা সবাই আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাই দুইপক্ষের সঙ্গেই আমার কথা হয়। তবে আমি কাউকে হুমকি বা মামলা নিয়ে জোর করিনি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, পর্ণোগ্রাফি মামলা ও হুমকির জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএন/ এসআই
মন্তব্য করুন